শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব, সাম্য ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দিয়ে গেছেন- ধর্মমন্ত্রী
ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব, সাম্য ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দিয়ে গেছেন। তিনি আচারসর্বস্ব ধর্মানুষ্ঠান ও ক্রিয়াকলাপকে উৎখাত করে সংকীর্তন অঙ্গণে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহামিলন ঘটিয়েছিলেন।
আজ বিকালে ঢাকার স্বামীবাগে ইসকন মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যের ৫৩৮তম আর্বিভাব তিথিতে গৌর পূর্ণিমা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা করেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যে হিংসা-বিদ্বেষ, জাতি ও বর্ণভেদ ভুলে গিয়ে অহিংসার বাণী শুনিয়েছেন। তিনি সাম্প্রদায়িকতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে, সকলের হৃদয় জয় করে প্রচার করেছিলেন বৈষ্ণবধর্ম। বৈদিক শাস্ত্রে নির্দেশিত শ্রীচৈতন্যদেবের প্রদর্শিত সেই বৈষ্ণব দর্শন আজও প্রচারিত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। তার নামানুসারে বাংলা সাহিত্যে চৈতন্যযুগ নামে এক নবযুগের সূচনা হয়।
মোঃ ফরিদুল হক খান বলেন, শ্রীচৈতন্যদেবের আন্দোলন মূলত ধর্মান্দোলন। তার প্রেম প্রধানত ভগবৎপ্রেম, কৃষ্ণপ্রেম। তার অস্ত্র ছিলো শ্রীনাম সংকীর্তন। তার যৌবনকালের অলৌকিক পাণ্ডিত্য তথাকথিত শিক্ষিত পন্ডিতদের গর্ব খর্ব করে বিনম্র হতে শিখিয়েছিল। তার জন্মের পর থেকেই নানা দেশে নানা স্থানে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা ও মন্দির নির্মাণ শুরু হয়। তিনি বলেন, শ্রীচৈতন্যদেব মানুষকে হানাহানি, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন।
ইসকন স্বামীবাগ আশ্রমের অধ্যক্ষ চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল। এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সাবেক সচিব অশোক মাধব রায়, লাটভিয়া থেকে আগত ভক্ত প্রিয় দাস, ইসকন বাংলাদেশের সহ-সম্পাদক জগৎগুরু গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী। এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন