ভূট্টা চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন বুনছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জের কৃষকেরা

দিনাজপুর বীরগঞ্জ উপজেলায় যেসব জমিতে গম চাষ হতো, সেসব জমিতে এখন চাষ হচ্ছে ভূট্টা। গমের তুলনায় ভূট্টায় তিনগুন ফলন এবং লাভ বেশী হওয়ায় গমের স্থান দখল করে নিয়েছে ভূট্টা। এবছর ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

ধান চাষের পাশাপাশি ভুট্টা চাষে স্বল্প খরচ ও অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভ হওয়ায় এই উপজেলার অধিকাংশই কৃষক ভূট্টা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। বাজার দর ভালো থাকায় এবছরেও চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটবে এমনটাই আশা করছেন ভূট্টা চাষীরা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার মরিচা, পলাশবাড়ী মোহাম্মদপুর, নিজপাড়া, শতগ্রাম, শিবরামপুর,সুজালপুর, পাল্টাপুরসহ সব ইউনিয়নেই ব্যাপক হারে ভূট্টা আবাদ হয়েছে এবং অধিকাংশ কৃষকেরা আগাম জাতের ভূট্টা চাষ করেছে।

আগাম জাতের ভূট্টা ২৫ থেকে ৩০ দিন আর কিছু ভুট্টা পরিপক্ব হতে ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে বিক্রি উপযোগী হবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এবছর উপজেলা জুড়ে, সর্বমোট ১২ হাজার ১৬২ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ হয়েছে। গত বছর ১১ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ হয়েছে।

উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভূট্টা চাষী এন্তাজুল ইসলাম বলেন, আমি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও আগাম পাওনিয়ার ৩৩৫৫, পূর্নভবা ৩৫৫৫,কাবেরি-৫ জাতের ৯ বিঘা ভূট্টা চাষ করেছি।

কারণ আগাম ভুট্টার চাহিদা বেশি ও ভালো দামও পাওয়া যায়। আমার প্রতি বিঘায় ভুট্টা চাষে জমি তৈরীতে, সার, বীজ, শ্রমিকের মজুরি,সেচ সহ সর্বমোট ২৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে আশা করছি যদি বাজার দর ভালো থাকে তাহলে প্রতি বিঘায় ৬০-৭০ হাজার টাকার ভুট্টা বিক্রি করতে পারব।

একই ইউনিয়নের ভুট্টা চাষী আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এ বছর প্রথম বারের মতো ৪ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি গত বছরে ধান চাষ করেছিলাম তেমন লাভবান হতে পারি নাই তাই অধিক লাভের আশায় এ বছর ভুট্টা চাষ করেছি আবহাওয়া ভালো থাকায় ও কোন প্রকার রোগবালাই নেই আশা করছি ভালো দামে ভুট্টা বিক্রি করতে পারব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, অধিক লাভের আশায় বীরগঞ্জের জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভুট্টা চাষ। অধিকাংশ কৃষকেরা আগাম ভুট্টা চাষ করেছে কারণ আগাম ভুট্টা চাষে ফলন বেশি ও ভালো দামও থাকে তাই কৃষকেরা আগাম ভুট্টা চাষ স্বাবলম্বী হচ্ছে। আর ভুট্টা চাষে সার্বিক বিষয়ে পরামর্শ প্রদান সহ কৃষি অফিস মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।