পলাশবাড়ীর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার গোপনে কৃষকের সার ও বীজ বিক্রির অভিযোগ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (বিএস) খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গোপনে কৃষকের সার ও বীজ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার কৃষি অফিসে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ শুরু করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর ও হোসেনপুর ৫নং ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ( বিএস) গত ২২ এপ্রিল দুপুর ১২টার সময় পাচজন কৃষকের নাম দিয়ে ৫০ কেজি এমওপি ৫০ কেজি ডিএবি ও ২৫ কেজি উফশী ধান বীজ বেংগুলিয়া হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষক মো. রতন মিয়ার মাধ্যমে উত্তোলন করে বড়শিমুলতলা রোডে একটি সারের দোকানে বিক্রি করার সময় স্থানীয়রা দেখে ফেলে এবং সাংবাদিকদের অবগত করেন।
ওইসময় ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা দেখতে পায় সাংবাদিকরা। সেখানে দেখা যায় বেংগুলিয়া হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. রতন মিয়া দোকানদারের নিকট সার বিক্রি করছে।
সার বিক্রির বিষয়টি রতনের নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, একই পরিবারের ৫ জন ব্যক্তি আইডি কার্ড ব্যবহার করে সার ও বিজ উত্তোলন করেন। এসব সার ও বীজ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা খাইরুল (বিএস) বিক্রির জন্য আমাকে বলেন। আমি বাহক হিসেবে এখানে বিক্রির জন্য এসেছি। এখানে আমার কিছুই নেই। খাইরুল ইসলাম বিএস-এর বাড়ি এবং আমার বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় তিনি মাঝে মধ্যে আমার মাধ্যমে এভাবে সার ও বীজ বিক্রি করতে দেয়। তিনি আরো বলেন, কাশিয়াবাড়ী রোডস্থ একটি দোকানে বীজ গুলো বিএস আমাকে রাখতে বলেছে আর সার ২ বস্তা ১ হাজার ৭’শত টাকায় বড় শিমুলতলা রোডস্থ দোকানে বিক্রি করতে বলেছে। আমাকে যাহা বলেছে আমি তাই করেছি।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের মোরশেদা বেগম জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম আমাদের কাছ থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করে তালিকা করেন। তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বে আমাদের সার ও বীজ দেয় না। বিএস খাইরুল ইসলাম আমাদেরকে বলেন যে কাউকে কিছু বলেন না। পরের বছর আমি আপনাকে ২/৩ নাম দেব। তিনি আরো জানান, বিএস খায়রুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (বিএস) খাইরুল ইসলামের নিকট এ বিষয় অবগত করলে তিনি জানান, আমি এখন এগুলো বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা। আমার স্যার ঢাকা ট্রেনিংএ আছে তিনি আসলে তার সাথে কথা বলে তারপর এসব বিষয়ে কথা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, আমি অফিসের কাজে ঢাকায় আছি। এসব বিষয়ে বিষয়ে কিছুই জানি না। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন