রংপুরের পীরগঞ্জে ৯৭টি মন্দিরে প্রতিমা তৈরী শেষ, চলছে রঙের কাজ

দুর্গাপূজার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন, ‍বছর ঘুরে আবার শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পীরগঞ্জ উপজেলা সদরসহ বেশিরভাগ স্থানে প্রতিমা তৈরী শেষ, চলছে রঙের কাজ।

পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের মধ্যে এ বছর চৈত্রকোল ইউনিয়নে ৪টি, ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নে ৪টি, বড় দরগাহ ইউনিয়নে ৪টি, কুমেদপুর ইউনিয়নে ৩টি, মদনখালী ইউনিয়নে কাদিরাবাদ সিংঘবাড়ী দুর্গা মন্দির ১টি, টুকুরিয়া ইউনিয়নে ৩টি, বড় আলমপুর ইউনিয়নে ৩টি, রায়পুর ইউনিয়নে ৫টি, পীরগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ৭টি।

শানের হাট ইউনিয়নে ১১টি, পাচঁগাছী ইউনিয়নে ১৪টি, মিঠিপুর ইউনিয়নে ১০টি, রামনাথপুর ইউনিয়নে ৭টি, চতরা ইউনিয়নে ১৩টি, কাবিলপুর ইউনিয়নে ৫টি ও পীরগঞ্জ পৌরসভায় ৫টিসহ মোট ৯৭টি মন্ডপে পালিত হবে দুর্গা উৎসব। শারদীয় দুর্গাপূজাকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মন্দির কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

আগামী ৮ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে, ১২ অক্টোবর দশমীতে বিসর্জন ও শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গাৎসব। এদিকে বছর ঘুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এই উৎসবকে ঘিরে মন্ডপে মন্ডপে বেড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততা। অপরদিকে পূজা মন্ডপ ঘিরে সকল ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

একজন পুরহিত বলেন- পঞ্জিকা মতে আগামী ৮ অক্টোবর শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা, এ দিন হবে ষষ্ঠি পূজা, আর ১২ অক্টোবর শনিবার দশমীতে চোখের জলে দেবী বির্সজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব এই শারদীয় দুর্গাপূজা। ইতোমধ্যে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতির কাজ আশি ভাগ শেষ হয়েছে।

মন্ডপ গুলোতে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে সে জন্য সেনাবাহিনী পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষনিক নজরদারি করছে। পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হাসান জানান, শারদীয় দুর্গোৎসব এর মন্দিরে প্রতিটিতে আইপি ক্যামেরা ব্যবস্থা করা হয়েছে, পীরগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শতভাগ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান পীরগঞ্জ উপজেলায় মোট ৯৭ টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন হবে। গত বছর ১’শ ২ টি মন্ডপে দুর্গাপৃজা হয়েছিল। এ বছর ৫ টি মন্ডপে পুজা হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতিটি মন্দিরে ৬ জন আনসার, ১০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও গ্রাম পুলিশ সার্বক্ষণিক মন্দিরের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়েজিত থাকবেন।