অবশেষে রোহিঙ্গা গণহত্যায় সৌদির নিন্দা

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির রাখাইনে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে প্রায় এক সপ্তাহ আগে।

ইতোমধ্যে মিয়ানমারের নোবেল বিজয়ী নেত্রী অং সান সুচির সরকারের হিসাবে ৪ শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। আর জাতিসংঘ জানিয়েছে, বর্মি সেনার অভিযানে প্রাণ বাঁচাতে এক সপ্তাহেই প্রায় ৬০ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।

ক্যাথেলিক খ্রিস্টানের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মিয়ানমার সরকারের এই হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানিয়েছেন।

আর সংঘাত শুরুর এক সপ্তাহ পর অবশেষে নিন্দা জানাল মুসলিম বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশ সৌদি আরব।

তবে দেশটির বাদশা সালমানের পক্ষ থেকে এ নিন্দা আসেনি। এসেছে জাতিসংঘে সৌদি মিশনের টুইটার থেকে।

এতে রাখাইনে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর মিয়ানমারের সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা করা হয়েছে। খবর: আল আরাবিয়্যার।

জাতিসংঘে সৌদি মিশনের টুইটে বলা হয়, ‘ইসলামী উম্মাহর নেতা হিসেবে সৌদি আরবের দায়িত্ব রয়েছে। মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর সম্প্রতি যে নিষ্ঠুরতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, তার নিন্দা জানিয়ে সৌদি আরব একটি রেজ্যুলেশনের প্রস্তাব দিয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘সোদি আরব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছে। রোহিঙ্গাদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদের এজেন্ডাতে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছেও সৌদি আরব তার উদ্বেগ জানিয়েছে এবং জাতিসংঘকে তার দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করেছে, যার ফলশ্রুতিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষ থেকে একটি নিন্দা বাণী প্রকাশ করা হয়।

সৌদির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রোহিঙ্গা মুসলমানদের বর্তমান সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে সৌদি আরব তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।’
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত এক সপ্তাহে ২ হাজার ৬২৫টি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘আরসা’ বাড়িঘরগুলো পুড়িয়েছে।

তবে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানান, বর্মি সেনারা ও উগ্র বৌদ্ধ জনতা বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে।

নিউ্য়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, তারা স্যাটেলাইটে তোলা ছবিতে দেখেছেন একটি গ্রামকে সম্পূর্ণ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।