আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক অর্থ উপমন্ত্রী দেবিদ্বারের সাবেক সংসদ সদস্য এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

(২১ অক্টোবর) শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী রাকিবা বানু, দুই ছেলে রাকিব মোহাম্মদ ফখরুল ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুলসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

স্বজনেরা জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর ১২টায় দেবিদ্বারের বনকোট গ্রামে তাঁর নিজ বাড়িতে প্রথম জানাজা, বাদ জোহর দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয়, সংসদ ভবন প্লাজায় বাদ আসর তৃতীয় ও বাদ মাগরীব গুলশান সোসাইটি মসজিদে চতুর্থ জানাজা শেষে রাতে বনানী গোরস্তানে দাফন করা হবে।

এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী ১৯৪৭ সালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেবিদ্বার উপজেলার পদ্মকোট গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও কৃতি ব্যক্তিত্ব মরহুম নুরুল ইসলামের পুত্র। শিক্ষাজীবনে ফখরুল ইসলাম মুন্সী চাঁদপুর হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ঢাবির অর্থনীতি বিভাগের সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি এফবিসিসিআই এর নির্বাহী সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কৃষি উন্নয়ন ও ব্যবসা ভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা এডাভের প্রেসিডেন্ট এবং ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান এ পির চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৬৯ সালের গণ আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তখন দশ ছাত্রনেতার সাথে তিনিও আন্দোলন সংগ্রামে জড়িয়ে পড়েন।

তিনি দেবিদ্বার সুজাত আলী সরকারি কলেজ সরকারিকরণ,দেবিদ্বার উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিস স্থাপন, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন তৈরি করেন। তুমি দেবিদ্বার থানার ওসির বাসভবন তৈরি, ২৫০ টি ব্রিজ নির্মাণ বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুতায়ন এবং গোমতী নদীর শিবনগর ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

জাতীয় পার্টির হয়ে তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। পরে এরশাদ সরকারের অর্থ উপমন্ত্রী হন ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৬ সাল ও ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজিত হন।