উপহাস করার ক্ষোভ থেকে চাচাকে খুন করলেন ভাতিজা!
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় বহুল আলোচিত কৃষক আব্দুল মালেক হত্যাকান্ডের মুল হোতার তার ভাতিজা সোহেল রানা (১৯)।
পুলিশের কাছে আটকের পর ওই হত্যাকান্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন সোহেল রানা। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাতুরিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শারীরিক সমস্যার অপবাদ নিয়ে ঘাটে অঘাটে তাচ্ছিল্য করতেন জেঠা আব্দুল মালেক। সে ক্ষোভ থেকে আব্দুল মালেককে খুন করে ভাতিজা সোহেল রানা। পুলিশের হাতে আটক সোহেল রানা এমনই তথ্য দেন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, ওই উপজেলার দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়ীর সামনে হত্যাকান্ডের শিকার হয় ওই এলাকার আব্দুল বারেকের পুত্র আব্দুল মালেক (৪২)। হত্যাকান্ডের পর থেকে আব্দুল মালেকের পরিবারের অভিযোগ, পাশ্ববর্তী একটি পরিবারের সাথে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে তারাই এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। মালেকের ছোট ভাই আব্দুল খালেকের পুত্র সোহেল রানা সাংবাদিকদের কাছে সেই দিন দাবী করেন, তার জেঠা হতাকান্ডের সাথে পাশ্বর্বতী একটি পরিবার জড়িত। কিন্তু ঘটনার ১১ দিন পর শুক্রবার দুপুরে সন্দেহ থেকে সেই সোহেল রানাকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ওই হত্যাকান্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন সোহেল রানা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, সোহেলের শারিরিক একটি সমস্যা নিয়ে তার জেঠা আব্দুল মালেক প্রায় সময় উপহাস করত। সেই ক্ষোভ থেকে তার জেঠাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সোহেল রানা। পরে বাজার থেকে একটি হাতুরি ক্রয় করে বাড়ির সামনে বসে থাকা জেঠায় মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। কয়েকদিন পর হত্যকান্ডে ব্যবহৃত হাতুরীটি পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেয়। শুক্রবার বিকালে ওই ডোবা থেকে সেই হাতুরী উদ্ধার করা হয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন