কুড়িগ্রামে গাঁজা দিয়ে পিতা-পুত্রকে ফাঁসানোর অভিযোগে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

কুড়িগ্রমের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা উত্তর কুটি চন্দ্রখানা (নাকারজান) এলাকায় গাঁজা দিয়ে বাবা ও ছেলেকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে বিজিবির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায্য বিচারের দাবি জানিয়েছে।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সীমান্ত পিলার নং- ৯৪১/২ এস পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বসবাসকারী উত্তর কুটি চন্দ্রখানা (নাকারজান) এলাকার আব্দুল গফুরের পুত্র আব্দুল গনি ওরফে জাহিদ হাসানের বাড়ীতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল দশটার দিকে গংগারহাট বিওপির নায়েক সুবেদার জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় টহলরত বিজিবি দল প্রায় দুই ঘন্টা তল্লাশি চালিয়ে কোন মাদকদ্রব্য না পেয়ে তার ছেলে আব্দুল গনি ওরফে জাহিদ হাসান কে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে পাশ্ববর্তী মৃত মনছের আলীর কন্যা ও আবুল কালামের স্ত্রী মোছাঃ মনোয়ারা বেগমের বাডীর রান্না ঘরের একটি ভাঙা বাস্কে ২২কেজি গাজা পায় বিজিবি। অতঃপর আব্দুল গনি ওরফে জাহিদ হাসান কে সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে অমানুবিক নির্যাতন করে এবং ওই গাজাঁ দিয়ে গনিকে ও গনির বাবা আব্দুল গফুরকেও পলাতক আসামী করে ফুলবাড়ি থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন বিজিবি।

এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধনে মৃত মনছের আলীর কন্যা ও আবুল কালামের স্ত্রী মোছাঃ মনোয়ারা বেগম বলেন, আমি গরিব অন্যের বাড়ীতে কাজ করে জীবন যাপন করে আসছি। আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে ভারতের মানুষ আমার রান্না ঘরের একটি ভাঙা বাস্কে গাঁজা রেখে যান। সেই গাঁজা দিয়ে বিজিবি অন্যায়ভাবে আব্দুল গনি ওরফে জাহিদ হাসান ও তার পিতার নামে মামলা দিয়েছে এর বিচার চাই।

মানববন্ধনে স্থানীয় মৃত্যু সিরাজুল হকের পুত্র রিয়াজুল হক, আজিমুদ্দিনের পুত্র আমজাদ হোসেন, আবেদ আলীর স্ত্রী মর্জিনা বেগম ও দোলনা বেগম বলেন, গংগারহাট বিওপির একদল বিজিবি আব্দুল গনি ওরফে জাহিদ হাসানের বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে তার বাড়িতে প্রায় দুই ঘন্টা তল্লাশি করে কোন মাদকদ্রব্য পায় নাই। অবশেষে আব্দুল গনি ওরফে জাহিদ হাসানের বাড়ির পিছনের বাড়িটি মনোয়ারা বেগমের বাড়ির রান্না ঘরের একটি ভাঙা বাস্কে গাজা পায় বিজিবি। সেই গাঁজা দিয়ে আব্দুল গনি ওরফে জাহিদ হাসানকে বিওপিতে নিয়ে যায় এবং ওই গাজাঁ দিয়ে গনিকে ও গনির বাবা আব্দুল গফুরকেও পলাতক আসামী করে ফুলবাড়ী থানায় একটি মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করেন বিজিবি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের দাবি জানাই।
মানববন্ধনে আব্দুল গনি ওরফে জাহিদ হাসানের স্ত্রী মোছাঃ লাভলী বেগম বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে বিজিবি অন্যায়ভাবে মামলা দিয়েছে। আমার স্বামী ও শশুর নির্দোষ। আমরা এর ন্যায় বিচার চাই।

মানববন্ধনে আব্দুল গনি ওরফে জাহিদ হাসানের মা মোছাঃ ফাতেমা বেগম বলেন, গংগারহাট বিওপির নায়েক সুবেদার আমার বাড়িতে গাঁজা না পাওয়া সত্বেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমার পুত্র ও আমার স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে এবং আমার পুত্রকে জেলে পাঠিয়েছে। আমি উধ্বতর্ন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট বিজিবি ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা সকলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিষয়টি দেখবো।