একের পর এক সিইও পদত্যাগ করায় ট্রাম্পের ব্যবসায়ী পরিষদ বিলুপ্ত
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2017/08/1486531507.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার শার্লোটসভিলে উগ্র শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী আর বর্ণবাদ বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতার জন্য উভয় পক্ষেরই দোষ ছিল, মন্তব্য করে দেশের ভেতরে এবং বাইরে ব্যপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ নিয়ে ইতিমধ্যেই নিজের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে গণহারে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের পদত্যাগের প্রেক্ষাপটে দুটি উপদেষ্টা পরিষদকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ আর জাতিসংঘ।
শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদীদের মিছিল-সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার শার্লোটসভিল শহরে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ডাকলে উভয় পক্ষে দাঙ্গা বেধে যায়। এতে একজন নারী নিহত ও প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হয়। রাজ্যে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এবং তারও অনেক পরে ট্রাম্প সহিংসতার জন্য উভয় পক্ষেরই দোষ ছিল, বলে মন্তব্য করেন।
একজন সাংবাদিক ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বার প্রশ্ন করেন উভয় পক্ষেই ঘৃণা এবং সহিংসতা ছিল? জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি মনে করনে উভয় পক্ষই এতে দায়ী ছিল। তিনি আরও বলেন, উভয় পক্ষই যে এতে দায়ী তাতে কোন সন্দেহ নেই।
শালোর্টসভিলে শনিবারের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুর্বল প্রতিক্রিয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার তার উপদেষ্টা পরিষদ ‘হোয়াইট হাউজ ম্যানুফ্যাকচারিং কাউন্সিল’ থেকে পদত্যাগ করেন তিনটি বড় কর্পোরেশন—ইনটেল, মেরক অ্যান্ড কো ফার্মা এবং আন্ডার আর্মারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এই ধারাবাহিকতায় আরো ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ যোগ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে গণহারে পদত্যাগ করতে শুরু করলে, দুটি উপদেষ্টা পরিষদই বিলুপ্ত ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
আর এ মন্তব্যের জন্য দেশে এবং দেশের বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাম্প। একে একে তার উপদেষ্টা পরিষদ থেকে সরে দাড়াতে থাকেন আরও ব্যবসায়ী নেতারা। সর্বশেষ টুইটারে ট্রাম্পের নতুন ঘোষণা আসার আগে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন থ্রিএম, ক্যাম্পবেল স্যুপ এবং জনসন এন্ড জনসনের প্রধান নির্বাহী। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ম্যানুফ্যাকচারিং কাউন্সিলের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের ওপর এত চাপ সৃষ্টি না করে, আমি বরং দুটি কাউন্সিলই বিলুপ্ত করলাম।’
এদিকে, এক বিরল বিবৃতি দিয়ে দুইজন সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সিনিয়র এবং তার ছেলে জর্জ ডব্লিউ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ইউরোপের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবও যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ নিরসনে উদ্যোগের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন