এরশাদের ‘ভোট মিশন’ শুরু আগস্টে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতি জোটের মধ্যে চলছে জল্পনা কল্পনা। নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে তা নিয়েও দুই জোটের নেতাদের যুক্তি ঘণ্ডন হচ্ছে প্রায় প্রতিনিয়ত। তবে এসব তর্কবিতর্ক করে সময় নষ্ট করতে চান না বর্তমান সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
নির্বাচনকে সামনে রেখে শিগগিরই মাঠে নামছেন তিনি। নির্বাচনী তৎপরতার অংশ হিসেবে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন প্রাক্তন এ রাষ্ট্রপতি। দলীয়ভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও পরে জোটের ব্যানারেও করতে পারেন তিনি।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিভাগীয় মহাসমাবেশ, নির্বাচনী গণসংযোগ, লঞ্চমার্চ, ট্রেনমার্চ ইত্যাদি। এভাবে সারাদেশে কর্মসূচি চালিয়ে নেতা-কর্মীদের সক্রিয় করার পাশাপাশি দলের শক্তি প্রদর্শনের কৌশল নিয়েছেন এরশাদ। একইসঙ্গে জোটগতভাবে জাতীয় পার্টির পক্ষে জনমত গঠন করবেন তিনি।
দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার বলেন, নির্বাচন করতে গেলে সাংগঠনিক শক্তি লাগবে, সারাদেশে দল লাগবে, এ ছাড়া নির্বাচনে জেতা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে দেশ ও জাতির কল্যাণে কর্মসূচি দিতে হবে। এসব বিষয় মাথা রেখে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে পার্টির চেয়ারম্যান প্রাক্তন সফল রাষ্ট্রপতি টানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রথম পর্যায়ে তিন মাসের কর্মসূচি দেবো। এর মধ্যে আগস্টে খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহে বড় ধরনের সমাবেশ করা হবে। খুলনা মহাসমাবেশ এর মধ্যদিয়ে শুরু হবে জাতীয় পাটির কর্মসূচি। অক্টোবর কিংবা নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ।
জানা গেছে, সারাদেশের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় এনে যৌথসভার আয়োজন করেছে জাতীয় পার্টি।
জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের ডেকে দলের চেয়ারম্যান এরশাদ নির্বাচনের জন্য ভালভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ, জনগণের দুয়ারে দুয়ারে জাপার পক্ষে জনমত গঠন ও জোটের শরিক দলের সঙ্গে মিলেমিশে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা দেবেন এই যৌথসভায়।
সভা সফল করার জন্য শুক্রবার রাতে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ। রাজধানীর কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থানও করেন তিনি। এ সময় দলের মহাসচিব নেতা-কর্মীদের দিক-নির্দেশনা দেন।
এর আগে এরশাদ রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন হলে যৌথসভার প্রস্তুতি দেখতে যান। এ সময় দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সাইদুর রহমান টেপা, মীর আবদুস সবুর আসুদ, মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি সফিকুল ইসলাম সেন্টু, কেন্দ্রীয় সদস্য সুজন দে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দলীয় শক্তি প্রদর্শন করে জাতীয়ভাবে জাতীয় পার্টির গুরুত্ব বাড়ানোর কৌশল প্রাক্তন এ রাষ্ট্রপতির। শনিবারের যৌথসভায় সারাদেশের নেতাদের এনে শোডাউন করা হচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকে জাতীয় পার্টি টানা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন