ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবের যে স্থানে ভ্রমণ নিষেধ

ওমরাহ ভিসা নিয়ে মক্কা, মদিনা ও জেদ্দার বাইরে সৌদি আরবের অন্যত্র স্থান ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদির পাসপোর্ট অধিদফতর। পাসপোর্ট অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওমরাহ করতে আসা বিদেশি নাগরিকদের ভিসার মেয়াদের ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কোনও বিলম্ব না করে চলে যেতে হবে। অন্যথায় মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ধরা পড়লে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ৬ মাসের জেল ও ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানার শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

নতুন এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ওমরাহ পালনকারী বিদেশিরা মক্কা, মদিনা ও জেদ্দার নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না। এছাড়া তাদের ভিসার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দেশে ফেরত আসতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে ওমরাহ ভিসার বেআইনি সুযোগ যাতে কেউ না নেয় সেই বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে। পাসপোর্ট অধিদফতর দেশটির নাগরিকদের মেয়াদোত্তীর্ণ ওমরাহ ভিসাধারী বিদেশিদের পরিবহন, নিয়োগ ও আবাসনের সুবিধা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম গালফ বিজনেস জানিয়েছে, অতীতে কাজের আশায় অনেকে ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবে প্রবেশ করে থেকে যেতেন। সেকারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

গত নভেম্বর থেকে সৌদি আরবে আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত এই অভিযানে প্রায় ১১ লাখ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ৩ লাখ মানুষকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত ওমরাহ ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া ২ হাজারের বেশি বিদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সৌদি আরবের পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৭ সালে দেশটিতে ১ কোটি ৯০ মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশি ছিলেন ৬৫ লাখ।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের আইন সহায়তাকারী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘সৌদি পাসপোর্ট অধিদফতর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে ওমরাহ করতে আসা বিদেশি নাগরিকদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নিজ নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত না গেলে ছয় মাসের জেল ও ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানাসহ ডিপোর্ট করার আইনের বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সৌদি আরবে অবস্থানরত কেউ যেন বেআইনিভাবে কোনও ওমরাহ যাত্রীকে আশ্রয় না দেয় তাও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাজিরা মক্কা, মদিনা ও জেদ্দার বাইরে অন্য কোনও যায়গায় ভ্রমণ করতে পারবেন না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।’