সৌদি আরবের ৩ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে পরিবর্তন

সৌদি আরবের শ্রম ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এছাড়া নতুন করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

দেশটির বাদশাহর ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে সিংহাসনের উত্তরসূরি হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পর উপসাগরীয় দেশটিতে এটা দ্বিতীয় পুনর্বিন্যাস।

শ্রম ও সামাজিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে ব্যবসায়ী আহমেদ বিন সুলাইমান আল রাজির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আলী বিন নাসের আল গাফিসের স্থলাভিষিক্ত হলেন।-খবর রয়টার্সের।

মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্য এখন সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা হচ্ছে দেশটিকে হাজার হাজার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। বিশ্বের শীর্ষ তেল রফতানিকারক দেশটির অর্থনৈতিক নীতি দেখভাল করেন তিনি।

সৌদি আরবের ১২.৮ ভাগ লোক বেকার। এসব মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে উপসাগরীয় আরব দেশটি বহুদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালের মধ্যে তারা ১২ লাখ নতুন চাকরির ব্যবস্থা করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের স্টিফেন হারটগ বলেন, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ফেরাতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ব্যাপক অর্থনৈতিক সংস্কার ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তারা এতদিনে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।

এর পর আব্দুল লতিফ বিন আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল রহমান আল শেখকে দেশটির ইসলামিক কার্যক্রম, আহ্বান ও নির্দেশনা বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন বাদশাহ সালমান।

তিনি এর আগে ধর্মীয় পুলিশ বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্যাপক সংস্কারে ফলে তার ক্ষমতা সীমিত করে দেয়া হয়েছিল।

রাজকীয় নির্দেশনায় নতুন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় খোলা হয়েছে। তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় চলমান বাজেট ঘাটতির মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা করে নতুন এই মন্ত্রণালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

নতুন এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে প্রিন্স বদল বিন আব্দুল্লাহ বিন মোহাম্মদ বিন ফারহান আল সৌদকে। গত এপ্রিলে তাকে নতুন প্রতিষ্ঠিত জেনারেল কালচারাল অথরিটির দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।

প্রিন্স মোহাম্মদের সভাপতিত্বে পবিত্র মক্কা নগরির জন্য একটি রাজকীয় কমিশন গঠনের ঘোষণা দেয় দেশটি।