কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে ইলিশ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে জাতীয় মাছ ইলিশ। ইলিশের ভরা মৌসুমে সরবরাহ কম ও চড়া দামের কারণে রুপালি ইলিশের ধারের কাছেও ভিড়তে পারছেন না মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা। ইলিশ ব্যবসায়ীরা বলছে, বাজারে সব পণ্যের দাম বেশি। এর প্রভাব মাছের বাজারেও পড়েছে। মোকাম থেকে বেশিদামে কেনা ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট ) বিকালে ভূরুঙ্গামারীর মাছ বাজারে গিয়ে দেখাযায়, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪৫০ টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১২৫০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা, ৫শ গ্রামের ওপরে ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকায় ও ৫ শ গ্রাম ওজনের নীচের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা।
আলমগীর নামের এক অটো চালক জানান, দৈনিক ৪৫০ টাকা ভাড়ায় অটো চালান তিনি। সারাদিনে ৯০০ টাকা রোজগার করেছি। মেয়ে ইলিশ মাছ খাইতে চায়ছে। জমার টাকা পরিশোধ করে বাজারে আসছি। কিন্তু ইলিশের এতো দাম। অনেক দামাদামি করে ৪০০ গ্রামের একটি ছোট ইলিশ তিনশ টাকায় কিনেছি।
আব্দুল মজিদ নামের একজন জানান, নতুন পাট বিক্রি করে ইলিশ মাছ কিনে বাড়ি ফেরা ভূরুঙ্গামারীর প্রতিটি কৃষক পরিবারের ঐতিহ্য ছিলো। কিন্তু ইলিশের দাম এতো চড়া যে এখন কৃষক পরিবারের সেই ঐতিহ্য আর নেই। ইলিশ নিম্ন ও মধ্যবিত্তের বাজেটের বাইরে। উচ্চবিত্তের মানুষ ছাড়া এখন আর ইলিশ মাছ কেনা সম্ভব নয়।
ইলিশ মাছ বিক্রেতা আব্দুল লতিফ জানান, মাওয়া ঘাট আর চাঁদপুর থেকে ইলিশ মাছ আনেন তিনি। মোকাম থেকে বেশিদামে কেনা ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেশি। এক কাটুনে ৬০ কেজি ইলিশ আনা যায়। এক সপ্তাহে এক কাটুন বিক্রি করেন। চাহিদা বেশি হলে কোন কোন সপ্তাহে দুই কাটুনও বিক্রি হয়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী বলেন, উপজেলায় মাছের চাহিদা ৫ হাজার ৭০ মেঃ টন। আর উৎপাদন ৪ হাজার ৮শ ৭৫ মেঃ টন, ঘাটতি রয়েছে ১শ ৯৫ মেঃ টন। ইলিশসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে ভূরুঙ্গামারীতে আসে যার মাধ্যমে ঘাটতি পুরণ হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন