এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায়
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পরিচালকের নেতৃত্বে সরেজমিনে পুনরায় তদন্ত
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2022/09/bhurungamari-news-pic.28.09.22-900x450.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিপ্তরের রংপুর অঞ্চলের পরিচালকের নেতৃত্বে একটি তদন্তটিম পুনরায় সরেজমিন তদন্ত করেছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে তারা এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে।
সূত্র জানায়, (২৮ সেপ্টেম্বর) বুধবার দুপুরে ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে তদন্ত অনুষ্ঠানে রংপুর অঞ্চলের পরিচালক আব্দুল মতিন,উপ-পরিচালক মোঃ আখতারুজ্জামান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শামছুল আলম উপস্থিত হয়ে বরখাস্তকৃত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান,সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি একেএম মাহমুদুর রহমান রোজেন, ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান পলাশ, পার্শ্ববর্তী পরীক্ষা কেন্দ্র, ভূরুঙ্গামারী পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মোঃ শাহজাহান আলী এবং নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এ বিষয়ে তদন্ত টিমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত টিম এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পৃথকভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে তদন্ত করেছিলেন।
এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় প্রশ্নপত্র বাতিল হওয়া ২টি বিষয়ের মধ্যে ১ম পরীক্ষা (জীব বিজ্ঞান বিষয়ে) বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ৪টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৬৪৯ জন পরীক্ষার্থী এ বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। প্রশ্নপত্র বাতিল হওয়া উচ্চতর গণিত বিষয়ের পরীক্ষা আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। আর স্থগিত হওয়া ৪টি বিষয়ের পরীক্ষা পরিবর্তীত রুটিন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গত ২০ সেপ্টেম্বর ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানকে আটক করা হয়। পরে ঐ কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী বাদী হয়ে ৪ জন এবং অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনায় ৬ আসামী গ্রেফতার হলেও এজাহার ভুক্ত আসামী অফিস সহকারী আবু হানিফ পলাতক রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষকের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানী রয়েছে।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন