পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়

কৃষকের পাকা ধান কেঁটে বাড়িতে পৌঁছে দিলো যুবলীগ

সমুদ্র উপকূলীয় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারনে চলমান শ্রমিক সংকটে পিছিয়ে পড়া কৃষকদের পাকা বোরো ধান কেঁটে ঘরে তুলে দিয়েছে যুবলীগের নেতা কর্মীরা।

রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সময়োপযোগী নির্দেশক্রমে কলাপাড়া উপজেলা ও মহিপুর থানা যুবলীগ’র উদ্যোগে পৃথক পৃথক ভাবে দরিদ্র দুই কৃষকের প্রায় ৭ বিঘা জমির ধান কেটে দেয় নেতাকর্মীরা।

এসময় উপজেলার টিয়াখালী ইউপির কৃষক কবিরের ২ বিঘা ও মহিপুর সদর ইউপির বিপিনপুর গ্রামের কৃষক আজিজের ৫ বিঘা জমির পাকা বোরো ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেয় রোজাদার নেতাকর্মীরা।

উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাকির হোসেনের নেতৃত্বে যবলীগ নেতা যুবরাজ, আরিফ, সাইফুল ইসলাম, মারুফ, আল-আমিন,সোহাগ, জাহিদ, রাতুল, ও মহিপুর থানা যুবলীগ’র আহŸায়ক মিজানুর রহমান বুলেট’র নেতৃত্বে যুব নেতা সিরাজুল ইসলাম, সুমন হাওলাদার, মনির হাওলাদার, সিদ্দিক মোল্লাসহ শারিরিক দুরত্ব বজায় রেখে সর্বমোট অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীরা ধান কাটায় অংশ গ্রহন করে।

কৃষক কবির মিয়া এ জানান, লকডাউনের কারনে আমার ১ একর জমির বোরো পাকা ধান যখন প্রচন্ড রোদে শুকিয়ে ক্ষেতেই ঝড়ে যাচ্ছিলো ঠিক তখনই কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা শ্রমিক হয়ে আমার ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়েছে। এজন্য যুবলীগ নেতা-কর্মীদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।

কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, এ বছর বোরো চাষের জন্য আবহাওয়া মোটেই ভালো ছিলনা। বোরো চাষের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কোন বৃষ্টি হয়নি। পুরো মৌসুম জুড়ে পুকুর, খাল-বিলের পানির উপর নির্ভর করতে হয়েছে। এরপর ক্ষেতের ধান পেকে গেছে কিন্তু দেশে করোনার কারনে ক্ষেতের ধান কাটার জন্য শ্রমিক না পাওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন। শেষপর্যন্ত রবিবার মহিপুর থানা যুবলীগের যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আমার ক্ষেতের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ সকল যুবলীগ নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাকির হোসেন জানান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের নির্দেশক্রমে কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে মহামারি করোনার কারনে কৃষকের ধান কাটার শ্রমিক সংকট থাকায় সামান্য পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র।

মহিপুর থানা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান বুলেট বলেন, প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকল সহযোগী সংগঠনকে সময়োপযোগী নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশ যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের আহব্বানে আমরা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছি। যুবলীগের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।