খাগড়াছড়ি ইউপিডিএফ-এর কেন্দ্রীয় সদস্য দেব দন্ত ত্রিপুরা’র মৃত্যুতে পাঁচ গণসংগঠনের শোক প্রকাশ, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর কেন্দ্রীয় সদস্য দেব দন্ত ত্রিপুরা’র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ইউপিডিএফভূক্ত ৫টি গণসংগঠন ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমেক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউডব্লিউডিএফ), পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ(পা.চ.না.স.), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম(ডিওয়াইএফ), বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন(এইচডব্লিউএফ)।
বৃহস্পতিবার(১লা জুন ২০২৩) ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সভাপতি সচিব চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি অংগ্য মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক যৌথ শোক বার্তার মাধ্যমে এই শোক প্রকাশ করেন।
শোক বার্তায় পাঁচ গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ইউপিডিএফ-এর কেন্দ্রীয় সদস্য দেব দন্ত ত্রিপুরা পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে ছাত্র জীবন থেকে রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন এবং পরে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ-এর গঠিত হলে এর সাথে যুক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় সদস্য নির্বাচিত হন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন জায়গায় সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পার্টির কাজে একীভূত থেকে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সাবেক ছাত্র নেতা হাসপাতালে মৃত্যুর শয্যায় থেকে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দর মাধ্যমে যে আহ্বানটুকু করেছিলেন সেটি আমাদের প্রত্যেকটি সংগঠনের নেতা-কর্মীকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা সর্বদা ন্যায়-নীতি ও পাটির আদর্শকে সমুন্নত রেখে পাহাড়ে নিপীড়িত জাতি ও জনগণের মুক্তির সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রত্যেক মৃত্যু বেদনাদায়ক এবং কষ্টকর হলেও তা সকলে মেনে নিতে বাধ্য হয়। এক সহযোদ্ধার বিয়োগ আমাদের ব্যথিত করেছে এবং পার্টি ও সংগঠনগুলোর তাঁর শূণ্যতা অনুভব করবে। আমরা তাঁর সংগ্রামের প্রতি রেড স্যালুট জানাচ্ছি। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
এদিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় ইউপিডিএফ নেতা দেবদন্ত ত্রিপুরার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত ইউপিডিএফ’র কেন্দ্রীয় সদস্য দেবদন্ত ত্রিপুরার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় হাজারো মানুষের অংশগ্রহণের সম্পন্ন করা হয়েছে।
শুক্রবার(২রা জুন ২০২৩) সকাল ১০টা থেকে নিজ বাড়িতে পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয় রীতি-নীতি পালনের মধ্য দিয়ে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু হয় এবং বেলা ৩টার পরে সম্পন্ন হয়। এরআগে দলীয় পতাকায় আবৃত করা হয়েছে কফিনটি। মরদেহ ভর্তি কফিনে স্যালুট জানিয়েছেন চৌকস টিমের সদস্যরা। প্রয়াত দেবদন্ত ত্রিপুরাকে শেষ শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাতে ১২জনের বিশেষ চৌকস টিম সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানে কাজ করে। শুরুতে মরদেহ ভর্তি কফিনে ৬জনের চৌকস টিমের মাধ্যমে স্যালুট জানিয়ে দলীয় পতাকায় কফিন আবৃত করা হয় এবং বিভিন্ন প্রকারের ফুল দিয়ে কফিনটি সাজানো হয়।
পরে চৌকস টিমের মাধ্যমে মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এতে ইউপিডিএফ’র পক্ষ থেকে সংগঠক বিপুল চাকমা, তিন গণসংগঠনের পক্ষে পিসিপি’র কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক নরেশ ত্রিপুরা, ডিওয়াইএফ’র লিটন চাকমা,এইচডব্লিউএফ’র জেলা আহŸায়ক এন্টি চাকমা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দেবদন্ত ত্রিপুরার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ইউপিডিএফ দীঘিনালা ইউনিটসহ একে একে বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শান্ত চাকমা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ১ মনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে আনুষ্ঠানিকতার শেষ পর্যায়ে স্যালুট জানিয়ে পার্টি পতাকা দেবদন্ত ত্রিপুরার সহধর্মিণী জীবিকা ত্রিপুরার হাতে তুলে দেন ইউপিডিএফ-এর সংগঠক বিপুল চাকমা। দেবদন্ত ত্রিপুরার সহধর্মিণীর হাতে পার্টি পতাকা তুলে দিয়েছেন বিপুল চাকমা।
এরপর বেলা ২টা ১০মিনিটে চৌকস টিমের সদস্যরা তাঁর মরদেহ(কফিন) বহন করে নিজ বাড়ি থেকে অনতি দূরে পারিবারিক শ্মশানে নিয়ে যায়। সেখানে নানা ধর্মীয় ও সামাজিক রীতি-নীতি পালন শেষে বিকাল ৩টায় তার দাহকার্য সম্পন্ন করা হয়। শ্মশানে মরদেহ বহন করে নিয়ে যান চৌকস টিমের সদস্যরা। শ্মশানে কফিন বহন করে নিয়ে যাবার সময় পার্টি ও গণসংগঠনের নেতা-কর্মীরা “দন্ত ত্রিপুরার অবদান ভুলি নাই ভুলব না”, “আমরা আছি থাকবো যুগে যুগে লড়ব”… ইত্যাদি শ্লোগান দেন।
প্রয়াত ইউপিডিএফ নেতা দেবদš— ত্রিপুরাকে এক নজর দেখতে এবং শেষ শ্রদ্ধা ও বিদায় জানাতে পানছড়ি, রামগড়, মানিকছড়ি, গুইমারা-মাটিরাঙ্গা, সাজেক-বাঘাইছড়ি, দীঘিনালাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে জরপ্রতিনিধি, মরুব্বিসহ হাজারো জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন ও এলাকাবাসী ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়ে তাঁর প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। দেবদন্ত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ দেয়।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার(১লা জুন) নিজ বাড়িতে দেবদন্ত ত্রিপুরা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মরণব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এর একদিন আগে হাসপাতাল থেকে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
দীর্ঘদিন মরণব্যাধি ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর কেন্দ্রীয় সদস্য দেবদন্ত ত্রিপুরা(৪৯) মৃত্যুবরণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার(১লা জুন ২০২৩) বিকেল ১টা ৫০মিনিটে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের সুরেন্দ্র মাস্টার পাড়ার নিজ বাড়িতে তার জীবনাবসান হয়। এর আগে তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রাতে তাকে ঢাকা থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
২০২১সালে দেবদন্ত ত্রিপুরার পেটে টিউমার ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর চিকিৎসা গ্রহণ করে কিছুটা সুস্থ হন। তবে পরের দিকে আবারো অসুখের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে তিনি ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে পর পর চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তিনি নিজ বাড়িতে ফেরার ইচ্ছা পোষণ করেন। গতকাল ৩১শে মে(বুধবার) কর্তব্যরত চিকিৎসকরা হাসপাতাল থেকে তাকে রিলিজ দিলে তাকে অ·িজেন মাস্ক পরিয়ে নিজ বাড়িতে নিযে আসা হয়।
পাটির কেন্দ্রীয় সদস্য দেবদন্ত ত্রিপুরার মৃত্যুতে ইউপিডিএফের সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসা ও সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক শোক বার্তায় নেতৃদ্বয় বলেন, ‘দেবদন্ত ত্রিপুরা পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকারহারা জুম্ম জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সংগ্রামে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৯০দশকে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাথে সাথে যুক্ত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে ইউপিডিএফ গঠিত হলে তিনি তাতে যোগ দেন এবং বিভিন্ন জায়গায় সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছেন। ২০০৬সালে অনুষ্ঠিত ইউপিডিএফের ১ম জাতীয় কংগ্রেসে দেবদন্ত ত্রিপরা দলের কেন্দ্রীয় সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে পার্টি একজন একনিষ্ট সংগঠককে হারালো।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় দেবদন্ত ত্রিপুরার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানান।
এদিকে, গত ২৯শে মে হাসপাতালে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপরা ও শুভাশীষ চাকমা দেবদন্ত ত্রিপুরার সাথে দেখা করতে গেলে তিনি তাদের কাছে তার শেষ ইচ্ছা ব্যক্ত করেন এবং তাদেরকে নীতি-আর্দশের ভিত্তিতে আন্দোলনে অবিচল থাকার উপদেশ দেন।
এ সময় তিনি তাদেরকে বলেন, আমি পার্টিকে আন্দোলনের যে প্রতিশ্রæুতি দিয়েছিলাম তা ভঙ্গ করিনি। মনপ্রাণ দিয়ে পাটির কাজ করেছি। তোমরাও জাতির জন্য ভালোভাবে কাজ করে যেও।
দেবদন্ত ত্রিপুরা অন্তিম শয়নে অমল ও শুভাশীষকে আরও বলেন: ‘প্রসিত খীসা আমার নেতা। তোমরা বেঈমানী করবে না, কাজ কর। তোমরা কাজ করে চল, অভিজ্ঞতা অর্জন করে চল। জাতির সাথে বেঈমানী করো না, আমি মরণের আগ পযন্ত দায়িত্ব পালন করেছি, আমার দেয়ার মতো আর কিছু নেই।’
এ সময় সভাপতি প্রসিত খীসার কাছে তার বক্তব্য কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আগে তাদেরকে বলেছিলাম, পার্টি না বাঁচলে দন্ত বাঁচবে না। আমি আমার প্রতিশ্রুতি পালন করেছি। আমি পাটির সাথে বেঈমানী করিনি, এটাই আমার শান্তি।
তিনি তাঁর এলাকায় স্থাপিত স্কুলটি দেখাশোনা করা এবং এলাকার জনগণ যাতে পাটির সাথে সম্পৃক্ত হয় তা বলে যান। একই সাথে তিনি মৃত্যুর পর তার দাহক্রিয়ার কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করা ও তার স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে দেয়ার অন্তিম ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
দেবদন্ত ত্রিপুরা ১৯৭৮সালের ২০শে এপ্রিল খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের সুরেন্দ্র মাষ্টার পাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৃত সেন কুমার ত্রিপুরা ও মাতার নাম মৃত বিরতী ত্রিপুরা। পিতা-মাতার ৩ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।
দেবদন্ত ত্রিপুরার শিক্ষা জীবন শুরু হয় জোরমরম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর তিনি মুনিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়(ক্লাস ৬-৮পর্যন্ত) ও খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়েও পড়াশোনা করেন। তিনি খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩সালে ম্যাট্রিক পাস করেন এবং ১৯৯৫সালে হাটহাজারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
হাই স্কুলে পড়ার সময় থেকে তিনি ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং তৎকালীন পিসিপির সাথে যুক্ত হয়ে ভাইবোনছড়া বিশেষ থানা শাখার সেক্রটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে নয়া পার্টি ইউপিডিএফ গঠিত হলে তাতে যোগদান করেন।
১৯৯৮ জীবিকা ত্রিপুরার সাথে তিনি বিবাহে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)’র প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন