গভীর রাতে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক বাড়িতে পরপর দু’টি বোমা বিস্ফোরণ


সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক বাড়িতে পরপর দু’টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের নাথপুর গ্রামে বৃহষ্পতিবার (৬ জানুয়ারী) রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের বাসিন্দা বিগত ইউপি নির্বাচনের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আবুল ফজল মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বাড়িতে দুইটি ককটেল জাতীয় বোমা নিক্ষেপের ওই ঘটনায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় বলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, একতালা বিশিষ্ট বাড়ির সিঁড়ির সামনে ছড়িয়ে আছে জালের লোহার কাঠি, পাটের পোড়া সুতা ও লাল কসটেপে মোড়ানো ককটেল ধ্বংসাবেশের টুকরো। রাতে পরপর দু’টি বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে ভোর থেকেই ঘটনাস্থলে বহু নারী-পুরুষ ভিড় করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী বাড়ির কর্তা আবুল ফজল মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন জানান, ‘রাত ২টার দিকে হঠাৎ দুইটি বিকট আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি বিস্ফোরণ হওয়া ককটেল বোমার টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তার অজানা। তবে বিগত ইউপি নির্বাচন কেন্দ্রিক এই ঘটনা ঘটাতে পারেন বলে তিনি ধারণা করছেন।
পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে ঘটনার তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচার ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে থানায় অতিদ্রুত লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানান।
সাইফুদ্দিনের স্ত্রী মেহনাজ সামরিন জানায়, ‘গত পরশু রাতে কুকুরের ব্যাপক ডাক-চিৎকার হলে বাইরে বের হতেই কারা চলে যায় বোঝা যায় নি। গতকাল রাতে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ বিকট আওয়াজে দুই কান বন্ধ হয়েছিলো। বিস্ফোরণে তেমন ক্ষতি না হলেও আতঙ্কে রয়েছেন।’
প্রতিবেশী আবু রায়হান জানান, ‘রাতে হঠাৎ বিকট আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গে। প্রতিবেশী সাইফুদ্দিনের বাড়িতে এসে দেখি ককটেলের জিনিসপত্র পড়ে রয়েছে। এটি যে বা যারােই করুক আইনের আওতায় আসা উচিত।’
আরেক প্রতিবেশী শের আলী গাজী জানান, ‘এমন নেক্কারজনক কাজ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন জানান, ‘সেখানে গ্রামপুলিশ ও ইউপি সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। মূল রহস্য জানা যায়নি। তবে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের টিম কাজ করছেন।’
কলারোয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা জানান, ‘বিষয়টি জানার পর পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে। লিখিত অভিযোগ এখোনো পাওয়া যায়নি। ঘটনা তদন্তপূর্বব ব্যবস্থা নেয়া হবে৷’

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন