গাইবান্ধায় জাতীয় পিঠা উৎসবের সমাপণী
বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম উপাদান পিঠা, যা শুধু খাবারই নয়, অনুপম স্মৃতি-ভান্ডারও এই প্রতিপাদ্য ধারণ করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি, গাইবান্ধার ব্যবস্থাপনায় গাইবান্ধা পৌরপার্ক চত্ত্বরে ৩ দিনব্যাপী “জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪৩০” এর সমাপণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।
গত ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ বিকাল ৫টায় দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় জাতীয় পিঠা উৎসব অনলাইন মাধ্যমে উদ্বোধন হয়। সন্ধ্যা ৬টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি, গাইবান্ধার আয়োজনে আলোচনা সভা, প্রবন্ধপাঠ ও লোক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পিঠা উৎসবে ১২টি স্টল অংশগ্রহণ করে।
পৌষালী পিঠা রসনা, ঘরোয়া স্বাদ, আলিশা উইথ মম, প্রসূন ফুড এন্ড ক্রাফটিং, হক ফুড কর্ণার, গাইবান্ধা নারী জাগরণ সংস্থা, গ্রীণ ভিউ কিচেন, লাভলী এন্ড অত্রি’স কিচেন, আঞ্জুস কিচেন, ক্যাফে নীড়, শাহিন পিঠা ঘর ও সিলভিয়া’স কিচেন। প্রায় দুই শতাধিক ধরণের পিঠা মেলায় প্রদর্শনী ও বিক্রয় করা হয়। ১৩ জন পিঠা শিল্পী মেলায় সার্বক্ষনিক পিঠা তৈরী করে বিক্রয় করেন। অংশগ্রহণকারী পিঠা শিল্পীরা জাফরিন আলম, মোছা. তাজমিরা ইসলাম ইমা, মোছা. তহমিনা খাতুন, মোছা. বিলকিছ আরা, মোছা. ফারহানা হক, মোছা. আছিমা খাতুন, মোছা. নাজমুন নাহার, মোছা. লাভলী বেগম, আঞ্জুমান চৌধুরী, জান্নাতুল পলাশী, আনোয়ারা খাতুন, মো. শাহিন আলম ও সৈয়দা সিলভিয়া আক্তার।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় পিঠা উৎসবের সমাপণী অনুষ্ঠানে ১৩ জন শিল্পীর মধ্যে হতে শ্রেষ্ঠ ৩ পিঠা শিল্পীকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। তিন দিনব্যাপী লোক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠি, জাহানারা আলম সঙ্গীত বিদ্যালয়, সারেগামাপা সঙ্গীত বিদ্যালয়, বিস্ময় সঙ্গীত বিদ্যালয়, সুরবাণী সংসদ গাইবান্ধা, জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ জেলা ও উপজেলার লোকশিল্পী, কবি, আবৃত্তিকার ও নৃত্যশিল্পীগণ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন