গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ভেজাল বীজে হতাশ কৃষক; বাজার মনিটরিংয়ে নেই পদক্ষেপ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা আমন মৌসুমে ভেজাল ধান বীজ বপনে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। উপজেলার বাজারগুলোতে ভেজাল ধান বীজে সয়লাব থাকায় প্রতারিত হয়েছে এ এলাকার কৃষকরা। উপজেলার বাজার মনিটরিংয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ না থাকায় বীজের কাঙ্ক্ষিত জারমেশন ও ফলন না হওয়ায় বীজতলা নিয়ে হতাশ কৃষকরা।
এ উপজেলাজুড়ে প্রতি বছর উচ্চ ফলনশীল ভালো মানের হাইব্রীড ধান বীজের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। সেই সুযোগে স্থানীয় কিছু অসাধু বীজ ব্যবসায়ী বিভিন্ন কোম্পানীর রং-বেরঙের প্যাকেট ছাপিয়ে নকল ও নিম্ন মানের বীজ ভরে বাজারজাত করে। ফলে কাঙ্খিত জারমেশন ও ফলন না পাওয়ায় প্রতারিত হচ্ছেন কৃষকরা। এছাড়াও অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য অসাধু বীজ কোম্পানীর আমাদানিকারক পরিচয় দিয়ে সেলসম্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রামে মাঠ দিবস পালন করা হয়। সেখানে ভালো ফলনের প্রভোলন দেখিয়ে কিছু বীজের ডিলার নিয়োগ করে সাধারণ কৃষকদের বীজ কিনতে উৎসাহীত করা হয়। আর এসব বীজ কিনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উপজেলার সাধারণ কৃষকরা।
সম্প্রতি কাটাবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক ইমরান হোসেন জানান, তিনি ইস্পাহানী এগ্রোর মাঠকর্মী জাহিদের প্রলোভনে ডিলার মদিনা বীজভান্ডার থেকে ইস্পাহানী-৮ জাতের ৬০ কেজি আমন ধানের বীজ কিনে বীজতলা তৈরী করেন। কিন্তু বীজের ৮০ ভাগ জারিমেশন না হওয়ায় বীজক্রয়, শ্রমিক মজুরি, হাল চাষ ও সারসহ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ-রেজা-ই মাহমুদ বলেন, বীজ কিনে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তবে এবিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন