গাইবান্ধায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে ইউপি সদস্যের লাথি
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে নমিতা রানী (২০) নামে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি মেরে গর্ভপাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর মা।
শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে আড়াইটার দিকে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের টিয়াগাছা (চালনদহ) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত অন্তঃসত্ত্বা নমিতা রানী ওই গ্রামের কান্তি চন্দ্রের মেয়ে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, টিয়াগাছা (চালনদহ) গ্রামের কান্তি চন্দ্রের স্ত্রী সবিতা রানীর সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে একই গ্রামের পতিরাম চন্দ্রের স্ত্রী সজনি রানী ও তার মেয়ে কাকুলি রানী ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় সবিতা রানী ও তার স্বামী কান্তি চন্দ্রকে মারধর করতে থাকে। এতে নমিতা রানী বাধা দিতে গেলে স্থানীয় ভাতগ্রাম ইউপি সদস্য রওজা প্রামানিক উত্তেজিত হয়ে মারধরসহ অন্তঃসত্ত্বা নমিতা রানীর পেটে লাথি মেরে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় স্বজনরা।
সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাবিবা জানান, নমিতা রানীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রওজা প্রামানিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উভয় পক্ষের মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করি। আমি নমিতা রানীকে কোনো ধরনের লাথি কিংবা মারধর করিনি।
সাদুল্লাপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মোস্তাফিজার রহমান বলেন, মারামারি বিষয় সংক্রান্ত একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন