গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবিতে বাংলা বিভাগের আয়োজনে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2023/01/received_1088075129258762-900x450.jpeg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বাংলা বিভাগের আয়োজনে বাহারি ধরনের পিঠায় পিঠা উৎসব উদযাপিত হয়েছে। পিঠা উৎসবে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয় পিঠা খাওয়ার জন্য।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে পিঠা উৎসব উপলক্ষে একটি র্যালি হয় এবং পরে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত কোষাধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মোঃ মোবারক হোসেন, রেজিস্ট্রার মোঃ দলিলুর রহমান, প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড মোঃ কামরুজ্জামান, বাংলা বিভাগের সভাপতি জাকিয়া সুলতানা মুক্তা ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। র্যালিটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বের হয়ে ক্যাফেটেরিয়া সংলগ্ন মাঠে (পিঠা উৎসবের মঞ্চ) এসে শেষ হয়।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারো পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলা বিভাগ। এবছরের পিঠা উৎসবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলে মোট ৯টি পিঠার দোকান বসে। পরিচিত সব পিঠাসহ পিঠা-পার্বন, স্বপ্ন ঘুড়ি পিঠা ঘর, পিঠা নিকেতন, পল্লী পিঠাঘর,অলকানন্দ, রসের হাড়ী পিঠা ভান্ডার, পিঠা বিলাস, আপ্যায়ন ও পৌষালি নামে ৯টি দোকানে বসেছে। এছাড়া পিঠাগুলোর মধ্যে সিঙ্গেল পিঠা, সুন্দরী পিঠা ছ্যাঁকা পিঠা, মেকাপ পিঠা, ভন্ড পিঠা, পূর্ণিমা চাঁদ, প্রপোজ পিঠা, জামাই পিঠা, দিল্লীকা নারকেল লাড্ডু, ভালোবাসার নকশা, হৃদয় হরন, মিঙ্গেল চপ, গাজরের সন্দেশ, ভালোবাসা সারাবেলা, সুখ বিলাস, লাজুক রমণী, প্রেমিকা ক্ষীর, মন ভোলানো ইত্যাদি পিঠায় প্রায় ১০০ রকমের পিঠা নিয়ে উৎসব হয়।
সকাল থেকেই পিঠা উৎসবস্থলে এসে জড় হয় উৎসুক শিক্ষার্থীরা। দাম নাগালের মধ্যে হওয়ায় ও পৌষের শীতে পিঠার জনপ্রিয়তার জন্য সককলে এসে পিঠা খেতে থাকে। সবকিছু মিলিয়া ক্রেতারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
পিঠা উৎসব সম্পর্কে অনুভূতি জানিয়ে বাংলা বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ ইউসুফ বলেন, আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য রক্ষায় আমরা পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। পঠার দাম নাগালের মধ্যে রাখা হয়েছে যাতে ক্রেতারা সাধ্যের ভেতর কিনতে পারে। সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রকার পিঠা বিক্রি করেছি। সবকিছু মিলিয়ে ভালো লাগা কাজ করছে।
ক্রেতারা জানান, পিঠার দাম সহজলভ্য হওয়ায় আমরা খেতে পারছি। খুব ভালো একটি আয়োজন। ভালো লাগছে এখানে আসতে পেরে।
বাংলা বিভাগের সভাপতি জাকিয়া সুলতানা মুক্তা বলেন, বাংলার লোকজ জীবনে শীতের পিঠাপুলির আয়োজন চিরায়ত সংস্কৃতির অংশ। এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে চর্চায় জাগরুক রাখতে বরাবরই বশেমুরবিপ্রবি’র বাংলা বিভাগ শীতে “পিঠা উৎসব”-এর আয়োজন করে। আমরা আশা করি বাংলার আবহমানকাল ধরে চলে আসা সাংস্কৃতিক উৎসবসমূহ, বৈশ্বিক নগরায়ণের মাঝে হারিয়ে না যাক। বাংলার উৎসব আমাদের হৃদয়ে চিরকাল স্পন্দিত হোক। সবাইকে এই উৎসবে সামিল হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ রইলো।
এদিকে, গতকাল রাত থেকে সারারাত পিঠার দোকান ও পিঠা বানানো কাজে নিয়োজিত থাকে শিক্ষার্থীরা।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন