ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবেলায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে প্রস্তুতি সভা

ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবেলায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের জরুরী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২২ মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে ওই প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খন্দকার রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মিরাজ হোসেন খান এর সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী।

সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শেখ তৈবুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অন্যা চক্রবর্তী, উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও তনময় হালদার, উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জোনাল অফিসার পঙ্কজ শিকদার, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারি সফু, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাস বাচ্চু, বাংলাদেশ সমিতি কালিগঞ্জ শাখার সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, দৈনিক দৃষ্টিপাত ব্যুরো প্রধান আশেক মেহেদী, নবযাত্রা কালিগঞ্জ ফিল্ড অফিস ম্যানেজার আশিক বিল্লাহ সহ ১২ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাংবাদিকবৃন্দ, উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

করোনাকালীন সময় সুরক্ষিত থেকে দুর্যোগ মোকাবেলায় সকলকে এগিয়ে আসার পাশপাশি সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে সভায় উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে সাইক্লোন সেন্টার সহ ১১২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় জানানো হয়- বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে এই সকল আশ্রয় কেন্দ্র গুলি জরুরী ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে ৪০ দিনের কর্মসূচি কাজের লোকজন দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভেড়িবাধ মেরামতের কাজ করবে পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবেলায় আশ্রায় কেন্দ্রগুলিতে প্রতিবন্ধী, গর্ভবতী, মা, শিশু ও বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষদেরকে নিয়ে আসার জন্য প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে।
এজন্য জন্য মসজিদের ইমাম, ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে।
ত্রাণ সামগ্রী, মেডিকেল টিম, বিদ্যুৎ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস এবং উপজেলা ও প্রতিটি ইউনিয়নের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও স্বেচ্ছাসেবক বৃন্দ প্রস্তুত থাকবে।
উপজেলায় ২৪ ঘন্টা কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে, দুর্যোগের আগে ও পরে যে কোন প্রয়োজনে যোগাযোগ রাখতে হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে শুকনো খাবার সংগ্রহ করা, রাস্তায় গাছ পড়ে গেলে দ্রুত গতিতে কাজ করানোর জন্য করাতকলের ব্যবস্থা করা।

সর্বোপরি ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে নবযাত্রার পক্ষ থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে দুর্যোগ মোকাবেলায় যে সমস্ত সরঞ্জাম জিনিসপত্র দেয়া হয়েছে সেগুলি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত থাকবে।

সভায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে মরা রুগ্ন গাছগুলো কেটে অপসারণ করার জন্য জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।