ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে হাজীগঞ্জে ৪’শ হেক্টর জমিতে শীতকালীন ফসল নিয়ে বিপাকে কৃষকরা
গেল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ৪/৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে প্রায় ৪’শ হেক্টর জমিতে শীতকালীন ফসল বিনষ্টের পথে। এ নিয়ে উপজেলার কয়েক’শ কৃষক রয়েছেন দুঃশ্চিতায়। তবে কৃষি বিভাগের দায়িত্বশীলরা বলছেন জলোচ্ছ্বাসের পানি আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে সরে না গেলে শাতকালীন সবজি চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে হাজীগঞ্জে বিপাকে পড়েছেন শীতকালীন সবজি চাষীরা। শীতকালীন সবজি মিষ্টি কুমড়া, টমেটো, খীরা, বাধা কপি ও ফুল কপি চাষাবাদের শুরুতেই ঝড়ো হাওয়া ও হঠাৎ জোয়ারের পানির কবলে পড়ে। উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এনামুল হক ও নুর মিয়া জানান, চাষবাস করে তাদের সংসার চলে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে যেই ক্ষতি হয়েছে সরকারের প্রনোদনা পেলে হয়তো তাদের এমন ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব।
এদিকে সিত্রাং বিদায় নেয়ার পর থেকে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ফসলী মাঠ পরিদর্শন শেষে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম জানান, উপজেলায় ৩’শ ৮১ হেক্টর জমিতে শীতকালিন শাক-সবজি চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে ১৩ হেক্টর জমির ফসল। আশা করা যায় ২/৩ দিনের মধ্যে পানি কমে গেলে ক্ষতির মাত্রাটা কম হবে। তবে পানি না কমলে এবার শাতকালীন ফসল তুলতে পারবে না কৃষকরা। বেশি ক্ষতি হবে টমেটো, লাল শাক, বাধা কপি ও ফুল কপি চাষকরা আড়াই হেক্টর জমির কৃষকেরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন