চুয়াডাঙ্গায় গণপিটুনীতে আধমরা ডাকাত সদস্য

সমাজের বিভিন্ন অপরাধ ঘটে যাচ্ছে ঠিকই। কিন্তু প্রতিরোধ না থাকায় দিন দিন অপরাধ ও অপরাধীর সংখ্যাও বাড়ছে। তবে এবার ডাকাতির কবলে পড়া পথচারীরাই সাহসীকতার পরিচয় দিয়ে একদল ডাকাত সদস্যদের ধাওয়া করেছে। সেসময় এক ডাকাতকে ধরে ফেললে তাকে আধমরা করে মেরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পথচারীসহ স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের নিমতলা—কুশোডাঙ্গা সড়কে মাঠের মধ্যে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনীর শিকার হয় অজ্ঞাতনামা ওই ডাকাত।

সেসময় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
তবে ডাকাতের নাম—পরিচয় পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিমতলা—কুশাডাঙ্গা সড়কে ৪/৫ জনের একদল ডাকাত সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা করছিল। সেসময় কয়েকজন পথচারী ডাকাতদলের কবলে পড়েন। ডাকাতিদের কবলে পড়া পথচারীদের বুদ্ধিমত্তায় তারা একত্রিত হয়ে ওই ডাকাতদলের সদস্যদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে গেলেও একজন হেঁাচট খেয়ে পড়ে যায়। পরে তাকে আটক করে চিৎকার করলে উত্তেজিত স্থানীয় জনতা এসে তাকে গণধোলাই দিয়ে মৃত্যুপথযাত্রীতে পরিণত করে। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ডাবাকবে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

ডাকাতির কবলে পড়া কয়েকজন জানিয়েছেন, সড়কে গাছ ফেলে কয়েকজনকে গতিরোধ করে ডাকাত সদস্যরা। তাদেরকে পাল্টা ধাওয়া করা হলে সকলে পালিয়ে গেলেও গুরুতর আহত ওই ডাকাত একজন হেঁাচট খেয়ে পড়ে গেলে তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে কয়েকজন সড়কে দাঁড়িয়েছিল। স্থানীয় জনগণ গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় অন্য সদস্যদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে। গুরুতর আহত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। অন্যত্র রেফার্ড করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

তবে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার সময় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও আজ (১১ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত ডাকাতদলের কোনো সদস্যকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।