মঠবাড়িয়ায় উঠানে গোয়াল ঘর; পরিবেশ দূষণের শিকার ১৩ পরিবার

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার রাজপাড়া গ্রামে ১৩ পরিবারের একটি উঠানে গোয়াল ঘর নির্মাণ করে পরিবেশ দূষনের অভিযোগ উঠেছে।

মৃত সেকান্দর আলীর পুত্র গ্রাম পুলিশ আল আমিন বাদী হয়ে বুধবার (৯ আগস্ট) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগটি বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট অগ্রগামী করেছেন।

বিবাদীরা হলো-ওই একই বাড়ির সৌদি প্রবাসী খোকন পহলানের ছেলে রনি পহলান এবং খোকন পহলানের স্ত্রী নাসিমা বেগম।

ওই উঠানে ১৩টি পরিবার বাস করেন। তারা হচ্ছে – আঃ মালেক,মোঃ সোহাগ, নাসির পহলান,সোবাহান পহলান,হাতেম মাতুব্বর, সুলতান পহলান,রাসেল পহলান,আঃ সালাম পহলান,কুদ্দুস পহলান,বেলাল পহলান, খালেক পহলান,চৌকিদারের ভাই খালেক পহলান এবং চৌকিদার আলামিন পহলান।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রাজপাড়ার ওই পহলান বাড়িতে ১৩টি পরিবার একই উঠানে বসবাস করেন।কয়েক বছর আগে আলামিন চৌকিদারের সাথে সৌদি প্রবাসী খোকন পহলানের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ সৃষ্টি হয়।এতে খোকন পহলন গোয়াল ঘর নির্মাণ করে আলামিন চৌকিদারের প্রাপ্য জমি দখল করেন।এরপর ওই গোয়াল ঘরে গরুর খামার তৈরি করে গোবর ও বর্জ্য উঠানে ফেলে পরিবেশ দূষণ করেন।এতে ওই বাড়ির ১৩টি পরিবারের বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ বর্ষাকালে নারী ও শিশুদের নিকট আত্তীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে ওই বাড়ির একাধিক শিশু চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে।বৃষ্টি হলেই গরুর গোবর পুরো উঠানে ছড়িয়ে যায়।এমনকি পুকুরের পানিতে মিশে যায়।

বিবাদীদের অভিযোগ, আমরা ড্রেন তৈরি করে গোয়াল ঘরের বর্জ্য নিরাপদ স্থানে নিতে চাই।কিন্তু জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন আকন জানান,গোবর ফেলে পরিবেশ দূষণ করার বিষয়টি সত্য।স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করা হবে।প্রতিকার না হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রতিবেদন দেওয়া হবে।