চুয়াডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান-সচিবসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চুয়াডাঙ্গায় ইউপি চেয়ারনম্যান হাসানুজ্জামান সরোয়ার ও সচিব মুছাব আলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুল বাতেন।

তাঁরা আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের স্ব-স্ব পদে দায়িত্ব্ পালন করছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা দায়রা জজ জিয়া হায়দার গত ২২ ফেব্রুয়ারী মামলাটি গ্রহণ করে বাদীর পক্ষের শুনানি গ্রহণ করেন।
মামলার অন্যান্য আসামীরা আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য আয়নাল হক ও ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য নিজাম উদ্দিন। বাদীপক্ষ আইনজীবি চুয়াডাঙ্গা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চিৎলা ইউনিয়নের সরকারি প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে বর্তমান চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরোয়ার ও সচিব মুছাব আলীমহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২৫ তারিখে ঢাকার সেগুন বাগিচা দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিপক্ষ আব্দুল বাতেন। পরে ওই সালের অক্টোবরের ৩ তারিখে একই অভিযোগ আবারো পাঠানো হয়। একই সালের ২৭ অক্টোবর অভিযোগ কোন্ পর্যায়ে আছে বাদীপক্ষ আব্দুল বাতেন জানতে তথ্য অধিকার আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন করেন। আবারও একমাস পর ২৭ নভেম্বর অভিযোগটি নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন। শেষ ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর বাদীপক্ষ অভিযোগটি নথিভুক্ত না রেখে সঠিকভাবে যাচাইবাছাই ও প্রাথমিক অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দুদকের প্রধান কার্যলয়ে একটি দরখাস্তের মাধ্যমে অনুরোধ করেন। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন তাতে কোনো কর্ণপাত না করায় হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। যার নং-(১৫৪/২০২২)।

পরে চলতি বছরের গত জানুয়ারী মাসের ১৭ তারিখে হাইকোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের গঠিত বেঞ্চ ওই রিট মামলাটি চুয়াডাঙ্গা নিম্ন আদালতকে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন। সেইসাথে হাইকোর্ট চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতকে মামলা নেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। চলতি বছরের গত ২২ ফেব্রুয়ারী জেলা দায়রা জজ জিয়া হায়দার মামলাটি এবং বাদীর শুনানি গ্রহণ করেন।

চুয়াডাঙ্গা জজ আদালতের অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফি বাদীপক্ষের আইনজীবি বলেন, বাদীপক্ষ হাইকোর্ট থেকে একটি অর্ডার নিয়েছেন, সেখানে বলা আছে, চুয়াডাঙ্গা দায়রা জজ মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত করার জন্য দুদক কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।

পরে চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া দুর্নীতি দমন পরিচালককেও নির্দেশনা দেন । আগামী সপ্তাহের মধ্যে দুদকের একটি টিম অত্র ইউনিয়নে তদন্তে আসার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরোয়ার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে বর্তমান কার্যাক্রম সরকারি নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে। যদি কেউ কোন বিষয়ে বলে তারা আমার বিরোধী পক্ষ। সে নির্বাচনের মাঠে ছিল আমার প্রতিপক্ষ হিসেবে। আমি জিতে গেছি, সে হেরে গেছে। হয়তো বা এরই শক্রতামূলকভাবে আমাকে হেনস্থা করার জন্য আমাকে ইনভল্ব করতে পারে।