ছেলের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা মায়ের
ছেলের ও নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক মা। গুরুতর আহত অবস্থায় মা-ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাতে গাজীপুরের মির্জাপুর মনিপুর তালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছেলের নাম মো. রানা (৮)। আর মায়ের নাম মোছা. হালিমা খাতুন (৩০)। ছেলেকে পঙ্গু হাসপাতালে, আর মাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার আলমনগর গ্রামে। তারা গাজীপুরের তালতলা এলাকায় একটি বাসায় থাকেন।
হালিমার স্বামী রেজাউল ইসলাম বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই পোশাক করাখানায় চাকরি করি। রাতে আমি করাখানায় ছিলাম। এসময় আমার সহকর্মী ফোনে জানান, কে যেন ছেলের গলা ও হাত-পা কেটে দিয়েছে। পরে আমি দ্রুত অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রাস্তায় দেখতে পাই, ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আমার সহকর্মী নিয়ে আসছে।
অপরদিকে স্ত্রীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাদের দুজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
রেজাউল ইসলাম জানান, ছেলে বলেছে, ‘মা রান্নাঘর থেকে বটি নিয়ে এসে আমার গলা ও হাতে কোপায়। পরে মা নিজেই নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।’ কেন তার স্ত্রী এই কাজ করলেন এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারেননি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, গাজীপুর থেকে মা এবং সন্তান গলাকাটা অবস্থায় এসেছে। আমরা জানতে পেরেছি সন্তানকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার পর নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন হালিমা। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানিয়েছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন