জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে জুতায় খাওয়ালেন নেতানিয়াহু!

বাড়িতে কোনো অতিথি এলে তাকে জুতায় খাবার পরিবেশন করলে অতিথির পক্ষ থেকে কেমন প্রতিক্রিয়া হবে সেটা সবারই জানা। কিন্তু জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে জুতায় খেতে দেয়া হলেও তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি তিনি। বরং চোখ মিটমিট করে হেসেছেন তিনি।

তবে শিনজো আবের ডিনারে জুতার ভেতরে ডেজার্ট পরিবেশন করে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইসরাইলের জনপ্রিয় এক পাচক।

গত সপ্তাহে ইসরাইল সফরে গেলে খাবার টেবিলে লম্বা-কালো জুতায় করে শিনজো আবেকে পরিবেশন করা হয় ডেজার্ট। খবর ওয়াশিংটন পোষ্ট।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সস্ত্রীক দুই প্রধানমন্ত্রী, জাপানের শিনজো আবে এবং ইজরায়েলের বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ভোজের টেবিলে জুতায় ভরা ডেজার্ট।

রোববার জুতায় খাবার পরিবেশনের এ ছবিটি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন ইসরাইলের তারকা শেফ সেগেভ মোশে। আর তা দেখেই আতকে উঠেছেন জাপানের কূটনীতিকরা।

প্রশ্ন উঠছে, জুতায় করে খাবার পরিবেশনের এই ভাবনা কি শৈল্পিক চমক, নাকি নিছকই মজা!

এক জাপানি কূটনীতিকের ভাষ্য, কোনও সংস্কৃতিতেই খাবার টেবিলে জুতা রাখাকে ভাল নজরে দেখা হয় না। ওই শেফ কী ভেবে এটা করেছেন, জানি না। বিষয়টা আদৌ মজার নয়। এতে প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলেই মনে করছি।

গত বুধবার জেরুজালেমে দুদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর রাজকীয় ভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। এটা ছিল ইসরাইলে আবের দ্বিতীয় সফর। সে দিন রান্নার দায়িত্বে ছিলেন শেফ মোশে। একের পর এক তাক লাগানো খাবার পরিবেশন করে চমকে দিতে চেয়েছিলেন অতিথিদের। শেষপাতে দেশ বিদেশের বাছাই করা চকোলেট জুতোয় ভরে পরিবেশনের ভাবনাটি তাই প্রথম থেকে গোপন রেখেছিলেন তিনি।

সেগেভ জানিয়েছেন, জুতাটি আসল নয়, ধাতুর তৈরি। ব্রিটিশ শিল্পী টম ডিক্সন সেটি তৈরি করেছেন। তবে সেই ভাবনা যতই অভিনব হোক না কেন, সমালোচনা পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরাইলের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, জাপানি সংস্কৃতিতে জুতাকে নীচু নজরেই দেখা হয়। তারা বাড়িতে, এমনকি অফিসেও জুতা পরেন না। জাপানের মানুষ তাই ঘটনাটিকে অপমানজনক বলে মনে করতেই পারেন।

ছবিটি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও হইচই শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, জুতায় ডেজার্ট পরিবেশনের আগে অতিথিদের সংস্কৃতি নিয়ে একটু ভাবা দরকার ছিল শেফের।

জুতা বিতর্কে নেতানিয়াহু মুখ খোলেননি। সরকারি তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে আমরা শ্রদ্ধা করি।