জামালপুর কৃষকরা আদা চাষে আগ্রহী, অনেকে আদা চাষ করে স্বাবলম্বি
জামালপুরে আদা চাষ জনপ্রিয় না হলেও অধিকাংশ কৃষক নিজ উদ্যোগে আদা চাষ করছে। বাড়ির আঙ্গিনা থেকে শুরু করে
ফসলি জমিতে আদা চাষ হচ্ছে। আদার দাম বেশি থাকায় পতিত জমিতে আদা চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছে। ফলে আদা চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার শ্রীপুর, বাশচড়া,শাহবাজপুর আদা চাষ সর্মৃদ্ধ এলাকা। এ এলাকা গুলোতে ব্যপক পরিমাণে আদা চাষ হয়ে থাকে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে দেখা ও জানা গেছে আদা চাষ বৃদ্ধির পেছনে কৃষি বিভাগ
ব্যপক সহায়তা করেছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে আদা আমদানী নির্ভর ফসল।
আদা ভারত থেকে আমদানী করতে হয়। আদা যাতে আমদানী না করতে হয় সে লক্ষ্যে সরকার কৃষি বিভাগকে মাঠ পর্যায়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কৃষি বিভাগ আদা চাষ করার জন্য মাঠ পর্যায়ে ব্যপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।
ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ইটাইল,নরুন্দী,পিয়ারপুর এলাকা বেছে নিয়েছে। পাশাপাশি লক্ষীর চর ,সাহেবের চর সহ আরো বেশ কয়েকটি চরে আদা চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফলে আদা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সরকার আদা চাষ কে জনপ্রিয় করার জন্যে কৃষি বিভাগ কে যে নির্দেশ দিয়েছে তা মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ,বকশীগঞ্জ উপজেলায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ কৃষক আদা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উন্নত জাতের আদা বীজ সরবরাহ করা হবে।
যাতে ফলন বেশি হয়। বাট্রাজোড়, ডাংধরা এলাকার কৃষক সাহেব আলী(৫০) এ প্রতিবেদক কে জানান, কৃষি বিভাগ এগিয়ে এসেছে বলেই আদা চাষে উদ্যোগ নিয়েছি। সরকারী সহায়তা পেলে আদা চাষের মাধ্যমে অধিকাংশ কৃষক স্বাবলম্বি হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন