জিসিএলের ড্রাফটে নারী গ্র্যান্ডমাস্টারকে নিয়ে কাড়াকাড়ি
প্রথমবারের মতো ফিদে ও টেক মাহিন্দ্রার যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে গ্লোবাল চেজ লিগ (জিসিএল)। ইতিমধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক দাবার এই টুর্নামেন্টের ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়েছে মুম্বাইয়ে। ড্রাফটে নারী গ্র্যান্ডমাস্টার হউ ইয়িফানকে নিয়ে সর্বোচ্চ বিড হয়েছে।
ড্রাফটে বিশ্বের ৩৬ জন তারকা দাবাড়ুকে বেঁচে নিয়েছে ৬টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। প্রতিটি দলে একজন করে রয়েছে আইকন খেলোয়াড়। তারাই টিমকে নেতৃত্বে দেবে।
টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ৬টি ফ্র্যাঞ্চাইজি হলো ভারত ভিত্তিক ইউ স্পোর্টস, গ্যাংস গ্র্যান্ড মাস্টার্স, বালান আলাসকান নাইটস, ত্রিবেনী কন্টিনেন্টাল কিংস, চিংগারি গালফ টাইটান্স ও এসজি আলপিন ওয়ারিয়র্স। ড্রাফটে চারভাগে খেলোয়াড়দের ভাগ করা হয়ে। সেগুলো হলো, আইকন, সুপারস্টার্স (পুরুষ), সুপারস্টার্স (নারী) ও তরুণ প্রতিভা।
রোমাঞ্চকর ড্রাফটে পাঁচবারের বিশ্ব দাবার চ্যাম্পিয়ন ও শীর্ষস্থানে থাকা মাগনাস কার্লসেনকে দলে ভিড়িয়েছে এসজি আলপিন ওয়ারিয়র্স। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আরেক তারকা বিশ্বনাথন আনন্দকে নিয়েছে গ্যাংস গ্র্যান্ডমাস্টার্স। বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ডিং লিরেনকে নিয়েছে ত্রিবেণী কন্টিনেন্টাল কিংস। বাকি তিনটি দলও চেষ্টা করেছে বিশ্ব দাবার তারকা খেলোয়াড়দের নেওয়ার জন্য।
নারী-পুরুষ উভয় তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিড হয়েছে নারী গ্র্যান্ডমাস্টার হউ ইয়িফানকে নিয়ে। ৪৭০ পয়েন্ট পাওয়া হউকে শেষ পর্যন্ত দলে ভিড়িয়েছে গ্যাংস গ্র্যান্ডমাস্টার্স।
দুবাই স্পোর্টস কাউন্সিলের সহায়তায় ২১ জুন ২০২৩ থেকে ২ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত দুবাই চেজ ক্লাব ও কালচারাল ক্লাবে জিসিএলের লড়াই চলবে। এর আগে টুর্নামেন্টটি শুরুর ৬৪ দিন পূর্বে ৬৪ স্কয়ার বিশিষ্ট লোগো উন্মোচিত করা হয়।
৬ দলের এই টুর্নামেন্টের প্রতিটি দল ৬ জন করে খেলোয়াড় খেলবে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন ২ জন নারী খেলোয়াড় এবং প্রতি দল ১ জন আইকন খেলোয়াড় থাকবে। প্রতিটি দল টুর্নামেন্টের ছয়টি বোর্ডে র্যাপিড ফরম্যাটে ১০টি করে ম্যাচ খেলবে।
জিসিএল কতৃপক্ষের আশা ১৬০ দেশের ৬০০ মিলিয়ন দর্শক টিভিতে টুর্নামেন্ট উপভোগ করবেন।
জিসিএলের চেয়াপার্সন জগদীশ মিত্র বলেন, ‘জিসিএল বিশ্বের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় অফিসিয়াল ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, নতুন যুগের সাথে ঐতিহ্যগত দাবাকে সংযুক্ত করে। টুর্নামেন্টের নারী-পুরুষের যৌথ-টিম ফরম্যাট সবার জন্য সমান সুযোগের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে। এর অত্যাধুনিক সম্প্রচার ১৬০টি দেশে ৬০০ মিলিয়ন দর্শকের কাছে পৌঁছাবে। আমরা মহাদেশ জুড়ে জিসিএলের শক্তিশালী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য অংশীদারদের খুঁজে পেয়ে আনন্দিত এবং একটি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরির জন্য উন্মুখ।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন