টোকেন থাকা সত্বেও খাবার পায়নি ইবির অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা
মহান স্বাধীনতা দিবসে উপলক্ষে দেওয়া খাবারের টোকেন থাকা সত্বেও যথাযথ খাবার পায়নি বলে অভিযোগ তুলেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একাধিক অনাবাসিক শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক হল কর্তৃপক্ষ থেকে উন্নত মানের খাবার বিতরণ করা হলেও কিছু শিক্ষার্থী টোকেন থাকা স্বত্বেও খাবার না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হল কর্তৃক জানানো হয়েছিল, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আছরের নামাজের পড়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসিকতা কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ৫০ টাকার টোকেনের বিনিময়ে উন্নতমানের বিশেষ খাবার দিবে। তবে, নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে টোকেন সংগ্রহ করলেও খাবার নিতে এসে খাবার না পেয়ে খালি হাতে ফিরে গেছেন বঙ্গবন্ধু হলের একাধিক অনাবাসিক শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অনাবাসিকদের জন্য বরাদ্দকৃত টোকেনে স্পষ্ট ভাবে লেখা আছে যে বাদ আসর আসতে হবে। তারা সে অনুযায়ী আসরের নামাজ শেষে খাবার আনতে হলে গিয়ে প্রভোস্ট অফিস এবং ডায়নিং উভয়ই বন্ধ পান৷ এরপর হলে টাঙানো নোটিশে দেখতে পায় যে খাবার সংগ্রহ করার সময় বিকেল ৩টা থেকে ৪টা। উপায় না পেয়ে শিক্ষার্থীরা হলের প্রভোস্টকে ফোন দিলে প্রথমে কর্মকর্তা ফারুকের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন এবং পরবর্তীতে তিনি দেরি করে আসা শিক্ষার্থীদের ই উল্টো দোষারোপ করেন। কিন্তু খাবার নেওয়ার সময় পরিবর্তনের নোটিশ টি এমন সময় দেওয়া হয়েছে যখন অনাবাসিক অনেকেরই টোকেন নেওয়া শেষ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা যারা অনাবাসিক শিক্ষার্থী তারা ক্যাম্পাসের আশেপাশে থাকি৷ ক্লাস বন্ধ থাকায় রোজা থেকে প্রতিদিন তো প্রয়োজন ব্যতীত ক্যাম্পাসে আসা হয়না। কাজেই দুইদিন আগে নোটিশ জানার প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া আমাদের তো জানার কথা না যে টোকেন দেওয়ার পরেও উনারা পরবর্তীতে খাবার নেয়ার সময় পরিবর্তন করবেন। প্রভোস্ট স্যার আমাদের অফিস থেকে ৫০ টাকা ফেরত নিয়ে যেতে বলেছেন কিন্তু আমাদের জন্য যে খাবার বরাদ্দ ছিল সেটা তো অবশ্যই ৫০ টাকা সমমূল্যের খাবার না।
ট্যুরিজম বিভাগের শিক্ষার্থী রবিন হাসান বলেন, টোকেনে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল বাদ আসর অথচ আমি হলে গিয়েছিলাম ৫টা ২০ মিনিটে। কয়জন আবাসিক এবং অনাবাসিক ছাত্র টোকেন নিয়েছে সে তথ্য তো কর্তৃপক্ষের কাছে আছেই। তারা অবশ্যই জানতেন যে বেশ কিছু ছাত্র খাবার নিতে আসেনি। কর্তৃপক্ষের উচিৎ ছিল ইফতারের আগ পর্যন্ত খাবার বিতরণের ব্যবস্থা রাখা।
এবিষয়ে এই হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন বলেন, ২৪ তারিখেই নোটিশ করে খাবার বিতরণের সময়ের ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেও নোটিশ না দেখলে তার দায়ভার তো আমাদের না। বিকাল ৪ টার পরে আরো ১ ঘন্টা আমরা খাবার দিয়েছি। আমাদেরও তো ইফতার করতে হবে, আমরা তো কারো জন্য খাবার নিয়ে বসে থাকবো না।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ৫০ টাকা মূল্যে টোকেন বিক্রি করে বিশেষ খাবার বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন