ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের সবজি যাচ্ছে সারাদেশে
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে নামটি বার বার সর্বাগ্রে চলে আসে এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদনের কারণে চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি সবজি চাষ করা হয়েছে এবং বর্তমানে এই উৎপাদিত সবজি এ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার দাম ভালো যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা। এখানকার লাউয়ের কদর দেশব্যাপী। খরচের চেয়ে লাভ বেশি হওয়া লাউ চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা।
গতকাল বুধবার ঘুরে দেখা যায় উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে শাকসবজি উৎপাদিত এবং সবজি উৎপাদন হওয়ায় বর্তমান চাষীরা কর্মব্যস্ত দিন কাটাচ্ছে। প্রচুর পরিমাণ শসা, করলা, লাউ, কুমরা,চিচিংঙ্গা বেগুন সহ নানা ধরনের সবজি উৎপাদিত হচ্ছে এ উপজেলায়। প্রতিদিন সকাল বেলায় পীরগঞ্জ কলেজ বাজার, সেনুয়া, লোহাগাড়া, জনগাঁও , নাককাটি ও ভাবনাগঞ্জ বাজারে সবজির হাট বসে।
সেনুয়া চৌরাস্তা থেকে ক্রেতারা বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে এসে সবজি সারাদেশে নিয়ে যায়। পীরগঞ্জের সবজি অপরদিকে সুস্বাদু হওয়ায় দেশের সর্বত্র এই সবজির চাহিদা রয়েছে অনেক বেশি।
উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের কটসিংগা গ্রামের কৃষক জাহেরুল ইসলাম বলেন, ৫০ শতক জমিতে লাউ চাষ শুরু করি। লাউ চাষে আমার খরচ হয় ৩০ হাজার টাকা। ইতিমেধ্যে প্রায় ৮০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি। আরো বিশ হাজার থেকে পচিঁশ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করতে পারবো। এলাকার কৃষকরা লাউ চাষে আগ্রহী প্রকাশ করেছেন।
উপজেলার ভোমরাদহ ইউনিয়নের সেনুয়া এলাকার কৃষক রুবেল রানা এবার ৩ বিঘা জমিতে করলা আবাদ করেছেন। তাদের মাচাংয়ে ঝুলছে করল্লা,লাউ আর মাটিতে কুমড়া। তিনি বলেন, অন্য সবজির চেয়ে লাউ ,করলা চাষ লাভজনক। লাউ ও করল্লা চাষে উৎপাদন ব্যয় কম অথচ আয় বেশি হওয়ায় দিন দিন কৃষকরা এ চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
উপজেলার উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা পংকজ রায় বলেন, চলতি মৌসুমে ১৮শ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে । পীরগঞ্জের সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। এখানকার চাষীরা সারা বছর নানা ধরনের শাকসবজি চাষ করে থাকেন এবং লাভবানও হয় প্রচুর।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পীরগঞ্জে প্রতিদিন কয়েকশ মণ উৎপাদিত সবজি বিশেষ করে লাউ, বেগুন, কুমড়া, করল্লা এবং চিচিংঙ্গা প্রচুর পরিমাণ পাইকারী হারে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। ফলে চাষীরা প্রচুর পরিমাণে লাভবান হচ্ছে। উৎপাদিত সবজি সংরক্ষণ এবং উন্নত প্রশিক্ষণ পেলে চাষীরা আরো বেশী লাভবান হবে বলে আশা করেন তিনি।
বর্তমানে যে পরিমাণ লাউ,করল্লা উৎপাদন হচ্ছে তা সারা দেশে চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। চাষীদের আরো প্রশিক্ষণ ও চাষাবাদে সহযোগিতা করলে চাষীরা অনেক বেশী লাভবান হবে বলে তিনি আশাব্যক্ত করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন