ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশুর রোজা
শিশুরা বড়দের দেখাদেখি শখ করে রোজা রাখার চেষ্টা করে। তাছাড়া মুসলমান শিশুদের ১২ বছর বয়স থেকে রোজা রাখা ফরজ। তাই বাবা-মাও শিশুর রোজা রাখার ব্যাপারে অমত করেন না।
কিন্তু শিশু ও কিশোররা যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় তাহলে বাবা-মা এ বিষয়ে একটু চিন্তাই করেন বটে।
শিশু ও কিশোররা সাধারণত টাইপ ১ অথবা ইনসুলিন নির্ভরশীল ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। শিশু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনসুলিন এবং নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা অপরিহার্য।
এ কারণেই টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশুদের রোজা রাখাটা একটু ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
শিশুর রোজা রাখার আগে সতর্কতা
* শিশুর রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা দেখতে হবে। এছাড়া শারীরিকভাবে রোজা রাখার সক্ষমতা আছে কিনা সেটা দেখা দরকার।
*ইনসুলিনের ডোজ নিয়মানুযায়ী পরিবর্তন করা।
*রোজায় রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষার করা জরুরি।
*সতর্কীকরণ সমস্যা যেমন- হাইপো, পানিশূন্যতা অথবা গ্লুকোজ অতিরিক্ত বেড়ে যেতে পারে তাই রোজায় খাবারের নিয়মাবলী জানতে হবে।
*যদি রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ (<৪ মি.মোল/লি) অথবা হাইপোর লক্ষণ দেখা দেয়। তাহলে স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে রোজা ভেঙ্গে ফেলাই ভালো।
এছাড়া শিশুদের রোজায় ডায়াবেটিস ঝুঁকিপূর্ণ কেন তা নিম্নে আলোচনা করা হলো;
*বারবার হাইপো হওয়ার আশংকা। তীব্র মাত্রার হাইপো অথবা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ (<৪ মি.মোল/লি) কমে যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে হাইপো উপলব্ধি না করতে পারলে কিন্তু বিপদ।
*অনিয়ন্ত্রিত টাইপ ১ ডায়াবেটিস।
*ডায়াবেটিস কিটোএসিডসিস হওয়ার ইতিহাস থাকলে। এছাড়া অন্য কোনো অসুস্থতা থাকলে।
তবে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকলে টাইপ ১ ডায়াবেটিস শিশুদের পক্ষে রোজা রাখা সম্ভব। তবে এর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াটা জরুরি।
ডা. ফাহিম আহমেদ রুপম
মেডিসিন অ্যান্ড ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ
ইমপালস হাসপাতাল, তেঁজগাও, ঢাকা
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন