আমি দুই যৌনকর্মীকে হত্যা করেছি!

‘আমি দুই যৌনকর্মীকে হত্যা করেছি, বেশ করেছি’ এমন ভাবেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন জার্মান এক যুবক। নিহত যৌনকর্মীরা বিদেশি নাগরিক জার্মানির ন্যুরেমবার্গে খুন হয়েছিলেন। আর তাদের হত্যাকারীই এভাবে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

সোমবার (১২ জুন) পুলিশ এবং কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, খুনের দায় স্বীকার করা ২১ বছর বয়সি জার্মান পুরুষটি বাভারিয়ার ন্যুরেমবার্গে দুই যৌনকর্মীকে হত্যা করে। ন্যুরেমবার্গের পুলিশ প্রধান ইয়োহান রাস্ট এই বিষয়ে বলেন, ‘সে হত্যার দায় স্বীকার করেছে এবং বর্তমানে তদন্তের প্রয়োজনে আটক রয়েছে।’

আলফ্রেড হ্যুবার নামক এক আইনজীবী বলেন, দরদাম নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় সৃষ্ট বিবাদের সময় দুই জনকে হত্যা করা হয়। পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন হত্যাকারী ফিলিক্স আর-কে গ্রেপ্তারে নিহত একজনের মোবাইলে থাকা টেলিফোন নম্বর এবং ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা ডিএনএ নমুনা সহায়তা করেছে।

নিহত যৌনকর্মীদের এক জনের বয়স ২২ বছর। তার রুমানিয়া ও হাঙ্গেরির নাগরিকত্ব ছিল। গত ২৪ মে ন্যুরেমবার্গে তাকে হত্যা করা হয়। নিহত আরেক যৌনকর্মী ৪৪ বছর বয়সি এক চীনা নাগরিক। তাকে গত ৫ জুন হত্যা করা হয়। দু’জনকেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা তাদের উদ্ধারের সময় তাদের হাত বাঁধা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে যে, ফিলিক্স আর. তাদের হত্যার পর হত্যার আলামত পুড়ে ফেলার জন্য বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।

গত বছর এক পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে শাস্তি হয়েছিল ফিলিক্স আর-এর। সেই সময় তাকে দুই সপ্তাহের জন্য একটি সংশোধানাগারে রাখা হয়েছিল। তার অপরাধপ্রবণ মানসিকতা সম্পর্কে তাই অবগত ছিল পুলিশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবার থেকে বিচ্ছেদ হওয়ায় অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় ভোগার কারণে তিনি নির্দয় হয়ে পড়েছেন। তাই এরকম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমা বিশ্বে দিন দিন পারিবারিক বন্ধ ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। এমনকি পরিবারিক প্রথাও সেখানে আজ ক্ষিণ। ফলে তাদের মধ্যে উচ্ছৃঙ্খলতা বেড়েই চলছে।