দীর্ঘ ৭ বছরেও নকশা জটিলতায় থমকে আছে সৈয়দ হকের স্মৃতি কমপ্লেক্স

দীর্ঘ ৭বছর পেরিয়ে গেলেও নকশা জটিলতায় কুড়িগ্রামে থমকে আছে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সমাধীতে কমপ্লেক্স তৈরীর কাজ। বরেণ্য এই লেখকের সমাধীটি এখন অযত্ন আর অবহেলায় পরে আছে। দ্রুত স্মৃতি কমপ্লেক্সের কাজ শুরু করার তাগিদ সর্বস্তরের মানুষের।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় কবির ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, পৌরসভা, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সরকারি—বেসরকারি সংগঠন কবির সমাধীতে পুষ্পমাল্য অর্পন করে। পরে কবির সমাধীতে স্থায়ী কবরের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন ও কবির মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মীর্জা মো, নাসির উদ্দিন, একুশে প্রদকপ্রাপ্ত গুণিজন অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন, কবিপূত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হক, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজ প্রমুখ।

সৈয়দ হকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন জানান, কুড়িগ্রামবাসীর প্রাণের দাবী সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সমাধীতে দ্রুততম সময়ে স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরু হোক। কবরটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা আর অযত্নে পরে ছিল। আমরা চাই এই কবর ঘিরে শুরু হোক সকল মননের মানুষদের নিয়ে প্রাণচাঞ্চল্য পরিবেশ। তাঁকে নিয়ে দেশ—বিদেশের মানুষ গবেষণা করুক। একটা সাংস্কৃতিক পরিবেশ তৈরী হোক।

সমাধীতে স্থায়ী কবর তৈরীর কাজ উদ্বোধনকালে কবিপূত্র দ্বিতীয় হক জানান, আজ পারিবারিকভাবে বাবার কবরটি বেঁধে দেয়ার কাজ শুরু করা হলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক; আমরা আশা করছি শীঘ্রই স্মৃতি কমপ্লেক্স তৈরীর কাজ শুরু করা হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, সরকার এ ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। আমরা যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি কাজ শুরু হয়ে যাবে। এছাড়াও সৈয়দ হকের জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদযাপনের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।