দেশের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতালে প্রথম ৫ ঘণ্টায় ৪০ রোগী ভর্তি


করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালটি সোমবার (১৯ এপ্রিল) চালুর প্রথম ৫ ঘণ্টায় ৪০ জন করোনারোগী ভর্তি হয়েছে।
হাসপাতালটিতে অর্ধেকের বেশি শয্যায় রোগীকে অক্সিজেন সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এই হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন।
প্রাথমিকভাবে ৫০টি আইসিইউ, ৫০টি ইমারজেন্সি, ১৫০টি সাধারণ শয্যা এবং ১৩০ জন চিকিৎসক ও ৩০০ নার্স নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও এক মাসের মধ্যে এটিকে এক হাজার শয্যায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা কর্তৃপক্ষের। এ ছাড়া রোগীদের জন্য রয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা।
উদ্বোধনী বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রত্যেকটি বেডেই হাই-ফ্লো অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি বেডে আমরা হাইপোনেজাল ক্যানোলা, অক্সিজেন কনসান্ট্রেটর ব্যবহার করব অর্থাৎ হাসপাতালের ৫০০ বেডই আইসিইউ বেড সমতুল্য।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই হাসপাতালে যারা আসবেন, তারা অন্যান্য হাসপাতালের মতোই স্বল্প মূল্যে সেরা চিকিৎসা পাবেন।’
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশেষায়িত ওই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে ৫০০ চিকিৎসক, ৭০০ নার্স, ৭০০ স্টাফ এবং ওষুধ ও সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ আগস্ট করোনা আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শনে গিয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম মহাখালীর ওই মার্কেটটিকে ৫০০ শয্যার আরবান (নগর) হাসপাতালে রূপান্তরের ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণার আট মাসের মাথায় শুরু হলো ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন