নওগাঁর আত্রাই কালকাকলী স্কুল এন্ড কলেজের মাঠ অবৈধ ভাবে দখল করার অভিযোগ

নওগাঁর আত্রাই উপজেলা সদরে কালকাকলী স্কুল এন্ড কলেজ নামীয় বিদ্যালয়টি শিক্ষার মান উন্নত ও উন্নত সমাজ গঠনে এবং বেকারত্ব দূরীকরণের নিমিত্তে ১৯৯১ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অদ্যবধি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সহিত পরিচালনা করে আসিতেছে অত্র বিদ্যালয়ে ১ম থেকে ১০ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চালু রয়েছে।

এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ১২০০ জন শিক্ষার্থী ও প্রায় ৫০ জনের অধিক শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছে । অত্র বিদ্যাপিঠে কলেজ শাখার পাঠদানের নিমিত্তে ও সহায়ক অন্যান্য কার্যক্রম সহ নানা অনুষ্ঠান ও দৈনন্দিন সমাবেশ পরিচালনার জন্য গত ১০/০৮/২০২৩ মোঃ মাহবুবার রহমান তার স্বত্বদখলীয় নিন্ম তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি মোঃ মাজেদুর রহমান কে দাম্পত্য রেজিস্ট্রি দলিল মূলে হস্তান্তর করে নিস্বত্ববান দখল শূন্য হয় বটে যাহা গত ৩০/০৬/১৯৭২ সালে ২৩২৮২ নং রেজিস্ট্রি বিনিময় দলিলমূলে মাহবুবার রহমানের ভাই মোল্লা সিরাজুল ইসলাম স্বত্ববান ও দখলীকার হয়।

উক্ত সম্পত্তিসহ আরও সম্পত্তি গতি ২৭/০৪/১৯৭০ সালে ৮৭৯৭ নং দলিল মূলে মোল্লা সিরাজুল ইসলাম তার ভাই মাহবুবার রহমান বরাবর হস্তান্তর করে নিঃস্বত্ববান দখল শূন্য হয়েন । অতঃপর মাহবুবার রহমান গতি ০২/১১/১৯৯৪ সালে ৬০৮/১৯৯৪-৯৫ নং খারিজ কেস মূলে নিজ নামে নামজারি করেন। অতঃপর মাহবুবার রহমান গত ১০/০৮/২০২৩ সালে ৩৪৪৯৭/২৩ নং রেজিস্ট্রি দানপত্র মূলে মোঃ মাজেদুর রহমান বরাবর হস্তান্ত করিয়া নিঃস্বত্ববান ও দখল শূন্য হয়েন বটে।

উক্ত তফশীল বর্ণিত সম্পত্তি স্বত্ববান ও দখলীকার হইয়া কল কাকলী স্কুল এন্ড কলেজের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করিয়া আসিতেছে। উক্ত মাঠটির চতুরপাশে টিন দ্বারা বাউন্ডারি সীমানা প্রাচীর করিয়া উহার চারিদিকে শোভা বর্ধন এবং ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রায় ৬০০ বনজ ও সুপারি গাছ রোপন করে মোঃ মাজেদুর রহমান।

কিন্তু দুঃখের বিষয় জমি ক্রয় ও স্কুল স্থাপনের পর হতেই এলাকার একদল চিহ্ন তো চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা নানাভাবে বিদ্যালয়ের কাজে বাধা সৃষ্টি করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৫ আগস্ট ২০২৪ বিকাল আনুমানিক ৫ টার দিকে সেই সময়ের দেশের চলমান রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অচল অবস্থা প্রেক্ষাপটের সুযোগ নিয়ে চাঁদাবাজা ও সন্ত্রাসী গণ উক্ত বিদ্যালয় মাঠের সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করে এবং মাঠের চারিপাশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলে। বিদ্যালয়ের ভবনে ভাঙচুর করে।

এমত অবস্থায় ৬ আগষ্ট ২০২৪ দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চাইলে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সন্ত্রাসী বাহিনী জবরদখল স্থগিত করে চলে যান। অদ্যবধি অবৈধভাবে জোরপূর্বক জবর দখলের অপচেষ্টায় এখনো লিপ্ত রহিয়াছে ঐ সব সন্ত্রাসীরা। এই সব চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রী চরম নিরাপত্তা হীনতার মধ্য রয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ মাজেদুর রহমান বলেন আমার হক দালিলিক স্বত্বদখলীয় সম্পত্তিতে কলকাকলী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের মাঠটি কৌশলে জবরদখল করে নিতে স্পর্শকাতর ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য ঈদগাহ মাঠ বানানোর অপকৌশলে আমার নিকট চাঁদা দাবি সহ নানাবিদ হুমকি ও ভয়-ভীতি করিয়া আসিতেছে।

বিদ্যালয়ের কমলমতি শিশুদের সেখানে খেলাধুলা ও তাদের দৈনন্দিন সমাবেশ সহ অন্যান্য কার্যকলাপ ব্যাহত করার অবশিষ্ট লিপ্ত রয়েছে,।এতে করে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের মানসিক বিকাশ সহ শিক্ষা পরিবেশের মারাত্মকভাবে বিঘœ ঘটছে।

নিন্ম উল্লেখিত প্রতিপক্ষ গণের নামে নওগাঁ পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দায়ের করা আছে, অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা হলেন, মোঃ আবদার হোসেন (৫৫), মোঃ জহুরুল ইসলাম( ৫৮), মোঃ হামিদুর ইসলাম (৩২), মোঃ জুয়েল সরদার ( ৩০), এস এম রুবেল (২৫), জাহাঙ্গীর আলম বাবু (৩৫), মোঃ আঃ জলিল সরদার (৫৫), কাজী রুহুল (৬০), কাজী রকেট ইসলাম (২৮), রিপন সরদার (২৮) সহ আরো অন্যান জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা আছে বলে এমনটি জানিয়েছেন মোঃ মাজেদুর রহমান।

এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা মোঃ জেমস হোসেন, লোকমান মাস্টার, মোঃ আসিফ নেওয়াজ, উজ্বল পেয়াদা মোঃ এরশাদুল হক সহ আরো অনেকে বলেন এই সকল ঘটনার বিষয় সম্পূর্ণ সত্য। মাজেদুর রহমান আরো বলেন প্রতিপক্ষ গণ যেন কোন রুপ উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য আমি প্রশাসনের নিকট সহযোগিতা ও বিবাদীগণের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করত অপরাধী গণকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি এবং স্থানীয় সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

যেন কোন রুপ ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বিদ্যালয়ের কোমল মতি শিশু ও শিক্ষকদের মানসিক বিকাশের বিঘিœত না ঘটায়। প্রতিষ্ঠানটি যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত করতে পারি বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ আবদার হোসেন, মোঃ জহুরুল ইসলাম, মোঃ হামিদুর ইসলাম, ও মোঃ জুয়েল সরদারের বাসায় গিয়ে না পাওয়া তাদের বক্তব্য দেওয়া যায়নি। এব্যাপারে আত্রাই উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও জেলা পুলিশ সুপার কুতুবউদ্দিন জানান, অভিযোগটি বিশেষ ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তারা জানান।