নরসিংদী হাসপাতালে আসা অনেকেই পরছেন না মাস্ক, মানছেন না সামাজিক দূরত্ব
নরসিংদী সদর হাসপাতালে সামাজিক দূরত্ব দূরে থাক, নেই অনেকের মুখে মাস্কও। কিন্তু যেখানে সরকারের নির্দেশ ছিল হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক সেখানে জনসাধারণ মাস্ক না পড়েই অবাধে ভিড় জমাচ্ছে যা খুবই ভয়ানক রূপ নিতে পারে। তাছাড়া সদর হাসপাতালে সামাজাকি দূরত্ব কেউ মানছে না। উল্টোদিকে কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করছে বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
বুধবার নরসিংদী সদর হাসপাতালে সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম রুদ্র এর গাড়ী দেখে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী নাছিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ৫ টাকার টিকিট কাটতে এই হাসপাতালে বর্তমানে ২ ঘন্টারও বেশি সময় লাগছে। অথচ অপরদিকে দালালকে ৫০ টাকা ধরিয়ে দিলে মুহূর্তের মধ্যে মিলে টিকিট।
পুরুষ কাউন্টার থেকে টিকিট কাঁটতে আসা মোঃ এমরান হোসেন সংবাদ কর্মী রুদ্রকে অভিযোগ করে বলেন, এই হাসপাতালের মানুষসহ কর্তৃপক্ষ সরকারের দেওয়া কোভিড-১৯ এর জন্য নির্দেশাবলী কোন অবস্থাতেই মানছে না। বরং শুধুমাত্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একটি ছবি তুলে সেটা সরকারের ঘরে জমা দিয়ে তারা তাদের দায় এড়িয়ে যায়।
অথচ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের উচিত সামাজিক দূরত্ব মানার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কয়েকজন কর্মী রাখা। কিন্তু তারা সেটা করছে না। বরং তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ টাকা আয়ের অভিযোগ উঠেছে এবং আমরা তা শুনেছি।
এদিকে এই নরসিংদী সদর হাসপাতালের এক নার্স পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, আমাদের এই হাসপাতালে কোন নিয়মই কেউ মানছে না। বরংছ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসরে আমাদেরকে সতর্ক করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এই হাসপাতালে প্রধানের সামনেই টিকিট কাউন্টার অথচ উক্ত কাউন্টারে যে সামাজিক দূরত্ব কেউ মানছে তা উনার চোখে পড়ছে না।
অপরদিকে কিছু সাধারণ মানুষ অভিযোগ করে বলেন, এই হাসপাতালে যদি সামাজিক দূরত্ব না মানা হয় তবে ভবিষ্যতে সাধারণ জনগন খুবই ক্ষতির সম্মুখে পড়বে। তাই সকলে কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছে বলে জানা যায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন