নরসিংদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্যক্তিগত যানবাহন, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য
নরসিংদীতে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরেই চলছে করোনা মহামারীর বিধি নিষেধ। কিন্তু কিছু পরিবহন চালক এই বিধি নিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ী চালিয়ে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এছাড়া সড়কে নির্দেশ অমান্য করে চলছে ব্যক্তিগত লেগুনা ও টাটা গাড়ী।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) মঙ্গলবার দুপুরে সাহেপ্রতাব এলাকায় মাধবদী থেকে ছেড়ে আসা টাটা গাড়ীর ড্রাইভার আল-আমিন মিয়া বলেন, ‘আমরা মহাসড়কের কিছু কর্মকর্তাকে মাসিক মাসুহারা দিয়ে গাড়ী চালাচ্ছি।’
সিলেট থেকে ছেড়ে আসা প্রাইভেটকার চালক জাইদুল হক বলেন, ‘যেহেতু দেশে এখন মহামারী করোনা ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে তবুও পেট বাঁচানোর জন্য বাধ্য হয়ে আমাদেরকে গাড়ী চালাতে হচ্ছে। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কিছুদিন আগে এই গাড়ীটি ক্রয় করেছে। আমার গাড়ী বয়স এখনো ০১ ব্ৎসর হয় নাই। ফলে আমার কিস্তি প্রায় সবগুলোই রয়েছে। তাই কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে জীবন বাজি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি।’
জেলাখানা মোড়ে দায়িত্বে থাকা এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘যেহেতু বর্তমানে মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে কঠোর বিধি নিষেধ চলছে তবুও মানুষ ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে চলাচল করছে। কিন্তু আমরা কিছু কিছু গাড়ী ধরে যেগুলো সম্ভব মামলা দিচ্ছি। অনেক জায়গায় আমাদের ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা সাবধান হয়েছে।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটাখোলার হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা হায়দার বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা পেয়ে আমরা কোন দূর দূরান্তে কোনো গাড়ীই যেতে দিচ্ছি না। তারপরও যেগুলো আইনকে অমান্য করে গাড়ী চালাচ্ছে তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করে মামলা দিচ্ছি।’
ইটাখোলা বাসষ্ট্যান্ডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, নরসিংদী জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে এবং অনেককে জরিমানা করছে।
আশঙ্কা করা যাচ্ছে যে এভাবে যদি ব্যক্তিগত গাড়ীগুলো অবাধে চলাচল করে তাহলে দেশের জন্য এটি পরবর্তীতে হুমকিস্বরূপ। তাই এই সমস্ত গাড়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে বিশেষজ্ঞরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন