নিহত ও আহত পুলিশ-সাংবাদিকদের দেখতে হাসপাতালে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল
বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে আহত পুলিশ এবং সাংবাদিকদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার রাত ৮ টার দিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান দলটির নেতারা। পরে রাত ৯টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের খোঁজ-খবর নেন তারা।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে সংঘর্ঘের ঘটনায় নিহত কনস্টেবল আমিনুল পারভেজের পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা পুলিশ সদস্য হত্যার সাথে জড়িত ও দায়ী ব্যক্তিদের যথাযথ বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দেন।
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসীরা আন্দোলনের নামে রাজধানীতে সন্ত্রাসী তা-ব চালিয়েছে। পুলিশের ২টি অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়েছে, হাসপাতালে আগুন দিয়েছে। ৯ জন দায়িত্বরত সাংবাদিক বন্ধুর উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাংচুর করেছে। শুধু তাই নয়, তাদের সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি আমাদের ৪ জন নারী নেত্রী।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩০ জন আহত হয়েছে। এই সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।তিনি বলেন, এক পুলিশ সদস্যকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। সন্ত্রাসী কায়দায় ৪১ পুলিশের ওপড় হামলা চালিয়েছে। তারা হাসপাতালে ছটফট করছে।
এই হামলায় যারাই জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।প্রতিনিধিদলে অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন মহি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মেসবাউল হক সাচ্চু, সাধারন সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন