পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রমজানকে ঘিরে তরমুজ ক্ষেতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন পাইকাররা


মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম ইবাদতের মাস হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। তবে তেজ দীপ্ত রোদেলা আবহাওয়ায় সংযমী হতে একটু বেশিই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন রোজদাররা। ফলে দিন শেষে ইফতারিতে পিপাসা মিটাতে হরেক রকম অয়োজন করে থাকেন অনেকেই। তবে এর মধ্যে জনপ্রিয়তার তালিকায় অন্যতম হচ্ছে জিভ ভিজানো রসালো তরমুজ।
কিন্তু সম্প্রতি সময়ে রোজাকে কেন্দ্র করে এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষেতে গিয়ে ইফতারির এই অনুষঙ্গের খোঁজ করছেন বড় ক্রেতারা। ফলে তরমুজ চাষীদের মাঠে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্ষেত চুক্তির পাইকাররা।
চলমান মাহে রমজানে মিষ্টি স্বাদের রসালো তরমুজের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুন। তাই পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিস্তীর্ণ তরমুজ আবাদের মাঠজুড়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আর তরমুজ মৌসুমেই রমজান থাকায় বেশ দামও হাকাতে পারছেন চাষিরা। তবে দুর—দুরান্ত থেকে আগত পাইকারদের সরবরাহের ভিড়ে এক প্রকার তরমুজ শূণ্য স্থানীয় বাজারগুলো।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রোদের তীব্রতা উপেক্ষা করে চাষিদের ক্ষেত থেকে তরমুজ ট্রাকে তুলে নিচ্ছেন পাইকাররা। আর অর্থের মিনিময়ে এই কাজে সহায়তা করছেন স্থানীয় শ্রমিকরা। উপজেলার টিয়াখালী ইউপির দক্ষিণ টিয়াখালী গ্রামে তরমুজ ক্ষেতে কথা হয় চাষী রুহুল গাজীর সঙ্গে।
জানান, তিনটি ক্ষেতে মোট ৪১ একর জমিতে বিট ফ্যামিলি এবং ড্রাগন প্রজাতির তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। আর এই মৌসুমে দৈনিক ১০ জন শ্রমিক দিয়ে ৪৬ লাখ টাকা উৎপাদন খরচ করেছেন এই চাষি। ফলে সাড়ে চারমাসে ঘাম ঝড়ানো সঠিক পরিচর্যায় পরিপক্ক ফসল পেয়েছেন তিনি। এখন তিনটি ক্ষেত বিক্রি করেছেন ৭১ লাখ টাকায়। কোন রোগবালাই না থাকায় রমজানের মধ্যে বেশ বাজার মূল্য পেয়েছেন বলে জানান এই উদ্যোক্তা।
ভোলা থেকে এই চাষির তরমুজ কিনতে আসা পাইকার মাসুম বিল্লাহ জানান, ৪৬ লাখ টাকায় রুহুল গাজীর ২৫ একরের একটি ক্ষেত কিনেছেন তিনি। আরো অনেক চাহিদা থাকলেও তরমুজ সঙ্কটে নিতে পারেননি। তবে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ বাদ দিয়েও ৬ লাখ টাকা ব্যবসা হবে তার। এছাড়া মৌসুমি এই ফল কিনতে বিভিন্ন কৃষকের ক্ষেতে হন্নে হয়ে ঘুরছেন আগত পাইকাররা বলে জানান এই বিনিয়োগকারী।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ১৩শ ২৩ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করেছেন চাষিরা। তবে এর মধ্যে ধানখালী, বালীয়াতলী ও টিয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি তরমুজের ফলন হয়েছে।
তিনি বলেন, এবছর কৃষকরা ভালো দাম পাওয়ার পাশাপাশি তরমুজ চাষে আমাদের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন