পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেতে গ্রাম পুলিশের সংবাদ সম্মেলন
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্লুইজ গেটের কপাট ভেঙ্গে কৃষি জমিতে লবন পানি উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানী ও প্রাণনাশের হুমকী দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলাপাড়া রিপোর্টাস ইউনিটি কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন লালুয়া ইউপির চান্দুপাড়া গ্রামের গ্রাম পুলিশ সদস্য মোঃ বশার গাজী। এ সময় গ্রাম পুলিশ সদস্য মোঃ মোস্তফা গাজী, মতলেব সরদার, সোহরাব হোসেন, খলিল হাওলাদর ও জিয়াউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বশার গাজী জানান, লালুয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত আছি। ২৭ মে বিকালে মঞ্জুপাড়া ও চান্দুপাড়া গ্রামের গাজী বাড়ির নিকট স্লুইজ গেটের বাহির পাশের কপাট ভেঙ্গে বেন্তি’জাল দিয়ে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে লবন পানি উত্তোলন করে দিয়ে স্বপন গাজী ও তার সঙ্গীরা । যার ফলে ওই গ্রামে শতাধিক পরিবার ও ফসলী জমি পানিবন্দি হয়ে পরে। প্রতিকার চেয়ে এলাকার কৃষক ও সাধারন জনগনসহ আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাহেবকে মোবাইল ফোনে অবহিত করি। বিষয়টি স্বপন গাজী জানতে পেরে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে । এছাড়া তাদের কাজে বাধা দিলে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা সহ প্রাণ নাষের হুমকী প্রদান করেন।
তিনি আরো জানান, ৩০ মে কলাপাড়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করি। যাহার ডায়েরী নম্বর-১৩৮১। এছাড়া কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ দুই’টি তদন্তধীন রয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে বশার গাজী আরো জানান, অভিযোগ দায়েরের পর আমার বিরুদ্ধে ১ জুন কলাপাড়া সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হয়রানী মূলক একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। বশার গাজীর অভিযোগ, মামলায় উল্লেখিত ঘটনার দিন তিনি অফিসের কাজে এবং তার পিতা মসজিদে এতে¦কাপে ছিলেন। তার পরেও মিথ্যা মালা দিয়ে তাদের পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে। ফলে স্বপন গাজীর দায়ের কৃত মিথ্য মামলা ও প্রান নাশের হুমকি থেকে পরিত্রান পেতে সাংবাদিকসহ সকলের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে স্বপন গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্য বলে দাবী করেছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন