পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের খাল দখলের অভিযোগ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার পৌর শহরের স্লুইসগেট থেকে মিরুখালীর দিকে প্রবাহমান খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে আজিম উল হক নামে এক কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তিনি পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য এবং মঠবাড়িয়া মহিউদ্দিন আহমেদ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ।

স্থাপনাটি খালের ওপর নির্মান করা হয়েছে বলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে নিশ্চিত করেছেন মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম।

জানা গেছে, পিরোজপুর জেলা পরিষদ বিগত এক দশক ধরে কোন ধরনের যাচাই বাছাই ছাড়াই নামে বেনামে মঠবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় খালের জমিতে ঘুষের বিনিময়ে বিধিবহির্ভূতভাবে ডিসিআর দিয়ে আসছে। এতে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের প্রানকেন্দ্রে থাকা খালটি এখন অনেকটা মরাখালে পরিনত হয়েছে। কেউ কেউ আধাপাকা ঘরের পেছনে খালের মধ্যে গাইডওয়াল দিয়ে আবার কেউ ১৫/২০ ফুট পিলার বসিয়ে পাইলেন দিয়ে সরকারি সম্পত্তি দখল করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া সদর রোডের কালিমন্দির গলিতে পাবলিক টয়লেট সংলগ্ন খালের ওপর পানির মধ্যে পিলার দিয়ে ২ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মান করা হয়েছে। অধ্যক্ষ আজিম উল হক জেলা পরিষদের সদস্য হওয়ার সুযোগ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশে স্থাপনাটি নির্মান করেন।

এরপর মঠবাড়িয়ায় একের পর এক চলে খাল দখলের মহোৎসব।পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খান এবং বর্তমান কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান এসব দখল বানিজ্য দেখেও না দেখার ভান করায় প্রবাহমান খালটি এখন হুমকির মুখে।শীতকালে পৌর শহরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলেও পানির অভাবে আগুন নেভাতে পারেনা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ আজিম উল হক জানান,ওই ঘরটি আমার না। এটি ভেঙ্গে ফেললে আমার কোন আপত্তি নেই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাইয়ুম জানান, মঠবাড়িয়া উপজেলার সরকারি সম্পত্তি থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। এরপর কেউ কেউ জেলা পরিষদের ডিসিআর সূত্রে দখল দাবি করছে।বিষয়টি যাচাই বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।