পেঁয়াজ-রসুনের স্মৃতিসৌধ!

‘মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী’ মেলায় এবার দর্শকদের মুগ্ধ করেছে ‘পেঁয়াজ-রসুনের স্মৃতিসৌধ’!
ময়মনসিংহের গৌরীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে কৃষি উপকরণে তৈরি স্মৃতিসৌধে রয়েছে সাতটি ত্রিভুজাকৃতি মিনারের শিখর ‘মুক্তি সংগ্রামের সাতটি পর্যায়’। এটি দর্শনার্থীদের স্মরণ করিয়ে দেবে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্ন, ছাপান্ন, বাষট্টি, ছেষট্টি ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয়।
কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি অফিসার সুমন সরকারের পরিকল্পনায় উৎসবের মর্মবাণী তারুণ্যকে উজ্জীবিত করছে। এ ছাড়া কৃষি বিভাগের মেলায় প্রথমবারের মতো প্রদর্শন করা হচ্ছে— বেগুনি, হলুদ ও সাদা রঙের ফুলকপি, যা চমক সৃষ্টি করেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন থেকে চলা মেলায় বিভিন্ন দপ্তরের স্টল পরিদর্শন করেন প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি।
উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার জানান, শহীদদের সম্মানে পেঁয়াজ-রসুনের স্মৃতিসৌধ করা হয়। এটিতে জাতীয় পতাকা করা হয়েছে মরিচ দিয়ে। এ স্মৃতিসৌধ তরুণ প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দেবে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্ন, ছাপান্ন, বাষট্টি, ছেষট্টি ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয়। এটি একটি এ ভিন্নধর্মী চেষ্টা।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে সোমবার মেলা উপলক্ষ্যে বিতর্ক, কুইজ প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউএনও হাসান মারুফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেন কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন— উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমা আক্তার রুবি, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. হেলাল উদ্দিন আহাম্মেদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ম. নুরুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. ইকবাল আহমেদ নাসের, উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার জান্নাত এ হুর, থানার অফিসার ইনচার্জ খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. নাজিমুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার নন্দন কুমার দেবনাথ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিম, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নাজিম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




















