প্রত্যেক মাসেই বহুমুখী পাট পণ্য মেলা আয়োজন করা হবে : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, বহুমুখী পাটপণ্যের প্রসার বাড়াতে বেশি করে মেলার আয়োজন করতে হবে। এতে দেশে-বিদেশে পাটপণ্যের চাহিদা যেমন বাড়বে, তেমনি এ খাতের উদ্যোক্তাদের বিক্রিও বাড়বে।

রবিবার (১২ মার্চ) ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় পাট দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে বহুমুখী বিক্রয় ও প্রদর্শনী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহমুদ হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এবার মেলায় ৭২টি উদ্যেক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রদর্শনীতে পাটের প্রায় সব পণ্য রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্য দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এখন আমাদের আরো উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছি। সরকার উদ্যোক্তা তৈরি করতে আগ্রহী। পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধিতে আরো বেশি মনযোগী হতে হবে। এছাড়াও পণ্য বহুমুখীকরণের পাশাপাশি পাটপণ্যের নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জেডিপিসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বেশি করে পাটপণ্যের মেলার আয়োজন করতে হবে। এতে দেশে পাটপণ্যের চাহিদা যেমন বাড়বে, তেমনি এ খাতের উদ্যোক্তাদের বিক্রিও বাড়বে। এতে করে তারা দেশের বাইরেও পাটপণ্য রপ্তানি করতে উৎসাহী হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য-২০২৩ এবং সোনালী আঁশ পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী’র ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে, পাটপণ্যকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে। সে লক্ষ্যে পাটখাতের অংশীজনসহ বছরব্যাপী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী, সেমিনার, সভা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ও পাটসমৃদ্ধ ফরিদপুর জেলায় পাট ও পাটজাতপণ্য প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।