প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে গেছে- নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বদলে গেছে। তিনি রাঙ্গাবালীকে রাঙিয়ে দিয়েছেন। এখানে থানা, রাস্তাঘাট ও স্কুল হয়েছে, ইন্টারনেট সেবা এসেছে। উপকূলীয় চরমোন্তাজ আর অবহেলিত নয়। প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে সবকিছুর সাথে যুক্ত হয়ে গেছে রাঙ্গাবালী।
আজ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজে মান্তা পল্লী মাঠে রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘অবহেলিত চরাঞ্চল উন্নয়নে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কথা বলা আছে, সেলক্ষ্যে কাজ হচ্ছে। নৌপথ খননের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ড্রেজার ছিল না। ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার ছিল আটটি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ বছরে বিআইডব্লিউটিএ’র জন্য ৮০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছেন। নাব্যতার কারণে যাতে কোনো অঞ্চলে নৌযান আটকে না থাকে এবং ড্রেজিং করে নৌপথ সচল করা যায় সেলক্ষ্যে বরিশালসহ নয়টি অঞ্চলে নয়টি ‘ড্রেজার বেইজ’ স্থাপন করা হয়েছে। গলাচিপার পানপট্টি ও রাঙ্গাবালীর মধ্যে শীঘ্রই ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে। এছাড়াও দুর্যোগের সময়ে উপকূলীয় অঞ্চলে দ্রুত মালামাল নেয়ার জন্য ‘হোবার ক্রাফট’ সংগ্রহ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলে শেষ করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনের গৃহের ব্যবস্থা করেছেন। পটুয়াখালীতে বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যান্টনমেন্ট, নেভাল বেইজ, পায়রা বন্দর, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছেন। কুয়াকাটাকে পর্যটন অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি করিয়েছেন। চরমোন্তাজ বাংলাদেশ থেকে আজ আর বিচ্ছিন্ন নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে যুক্ত করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, চরমোন্তাজের পরও বাংলাদেশের সীমানা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সমুদ্রসীমা বিজয়ের মাধ্যমে সমুদ্রে অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সমুদ্রে আরেকটি বাংলাদেশের আয়তনের সমান বাংলাদেশ আছে। বঙ্গোপসাগরের সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাবের সভাপতি সিকদার জোবায়ের হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান, সাংবাদিক নেতা কুদ্দুস আফ্রাদ, ভারতের বহুভাষী সংবাদ সংস্থা হিন্দুস্থান সমাচারের বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান কিশোর সরকার এবং রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান মামুন খান।
প্রতিমন্ত্রী এর আগে চরমোন্তাজে মান্তা পল্লী মাঠ প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে চলমান আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতাভুক্ত ভাসমান মান্তা সম্প্রদায়ের জন্য নির্মিতব্য ৩০টি ঘরের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন