ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এসিল্যান্ডের প্রচেষ্টায় জনবান্ধবে পরিণত উপজেলা ভূমি অফিস

সহকারি কমিশনার (ভূমি) জনাব মাহামুদুল হাসানের একান্ত প্রচেষ্টায় ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলা ভূমি অফিস সব ধরণের জনদূর্ভোগ রোধ করে বর্তমানে জনবান্ধব অফিসে পরিণত হয়েছে।

এতে অফিসের অতীতের চেয়ে সব ধরণের ভূমি সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। অফিসে এখন আগের মত অপ্রয়োজনীয় জনগণের ভিড় বা দালাল দেখা যায় না। নেই কোন বস্তাবন্দী ফাইল। নেই কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি।

সরোজমিনে গিয়ে জানা গেছে, অফিসে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে পুরাতন পেন্ডিং কাজ শেষ করে এ স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহামুদুল হাসানের সততা, দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠার কথা শোনা গেছে। গত ছয় মাসে অফিসের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহামুদুল হাসানের কর্মতৎপরতা ও সৃজনশীলতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে ।

প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমি রেকর্ড ব্যবস্থাপনা ও নামজারিসহ অন্যান্য সেবা এখন সেবা প্রত্যাশিরা খুব সহজেই পেয়ে যাচ্ছে। যেখানে একটা নামজারী করতে আগে হাজার-হাজার টাকা লাগত এখন সেখানে নির্ধারিত সরকারি ফি দিয়েই নামজারি হয় ভাঙ্গা ভূমি অফিসে।

অপরদিকে ই-নামজারী সিস্টেমের মাধ্যমে জনগণ ঘরে বসেই নামজারির আবেদন করতে পারছেন। যা বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এছাড়াও অনুমোদিত মিউটেশন খতিয়ানগুলো ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মৌজা অনুযায়ী সুবিন্যাস্তভাবে সাজিয়ে তা সুচিপত্র তৈরি শেষে ভলিউম আকারে বাঁধাই করা হয়েছে। তাছাড়াও কম্পিউটারে স্ক্যান করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এতে যেকোন নাগরিক জমির খতিয়ান যাচাই-বাছাই করতে পারবেন কিংবা জমি ক্রয়ের পূর্বে স্বত্ব যাচাই করতে চাইলে খতিয়ান বা নামজারি কেস নম্বর দিয়ে সহজেই যাচাই করতে পারবেন। এছাড়া আবেদনের সময় সংযুক্ত কোর্ট ফি জালিয়াতি রোধে সহকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কর্মতৎপরতা উল্লেখযোগ্য।

এছাড়াও অফিসের সামনেই টাঙানো হয়েছে সিটিজেন চার্টার। এর মাধ্যমে ভূমি অফিসের যেকোন নিয়ম-কানুন, খাজনা-খারিজ, পর্চা, রেকর্ড সংশোধন, জমি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দেয়া আছে। ফলে সেবা গ্রহিতাদের ভোগান্তি লাঘব হয়েছে। সেবাগ্রহিতাদের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।বসার জন্য তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন গোল ঘর।

অফিসের সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন আবেদনের তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করতে অফিসে একটি ফ্রন্টডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহামুদুল হাসান বলেন, যোগদানের পর থেকে গত ছয় মাসে ভূমি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন সংক্রান্ত গ্রহিত কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। ফলে অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কাজ শুরু করে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই কাজগুলি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, সরকার হচ্ছে জনগণের সেবক এবং আমরা সরকারের অংশ হিসাবে জনগণের ভূমি সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ নিশ্চিত করবো ইনশাল্লাহ।