ফাগুনে কপোত-কপোতির হৃদয়ে জ্বলছে ভালোবাসার আগুন
স্নিগ্ধ ভোরে মোহনীয় রোদের কিরণ আর প্রকৃতির অকৃত্রিম ভালোবাসায় জেগে ওঠা পাখ-পাখালির মিষ্টি কন্ঠের সুরই বলছে আজ পহেলা ফাল্গুন। ধরনীর আপন নিয়ম পরিবর্তনে এসেছে ঋতুরাজ,এসেছে বসন্ত। আর এ দিনেই উদযাপিত হচ্ছে মানবসৃষ্ট বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ভাবুকের ভাষায়, প্রেম ঋতুতে অন্তর দিয়ে অন্তর ছোঁয়ার দিনটিও আজ। তাই দিশাহীন হৃদয়ে রাস্তার মোড়ে,পাড়ায় মহল্লায়,অলিতে-গলিতে নিভৃতে চলছে ফুলেল শুভেচ্ছায় প্রেম নিবেদন। ফলে ফুল বিক্রির দোকান গুলোতে এখন শুধুই প্রেম কামনায় আসক্তদের ভিড়।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছে প্রেম কাপলের মেলা। প্রায় প্রতিটি দৃষ্টিনন্দন স্পটেই আজ যুগলদের দেখা মিলেছে ফাগুনের আগুন ঝরা সাজে। হাতে হাত রেখে প্রিয়জনের সাথে বলছেন মনের অব্যক্ত ভালোবাসার কথা। আবার অনেক রমণীরা ফুলে ফুলে সাজানো ক্রাউন মাথায় পড়ে ঘুরছেন প্রিয়জনের হাত ধরে। কেউ আবার শীতল স্পর্স অনুভবে বুকের পাজরে জড়িয়ে বসে আছেন বৃক্ষের ছাঁয়ায়। এছাড়া মনভোলানো মিষ্টি কথার ফুলঝুড়ি ফুটিয়ে প্রথে-প্রান্তরে মনের ভাব প্রকাশ করছেন আপন মহিমায়। তবে তরুণ বয়সীরা বলছেন, কেবল অল্প বয়সী নয়, ফাগুনে আগুন জ্বলছে সব বয়সীদের হৃদয়ে।
কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতী বলেন, প্রকৃতিতে ঋতুরাজ বসন্ত শুরু হয়েছে আজ। ঠিক এই দিনেই উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। তাই প্রিয় বান্ধবীদের মাধ্যমে ফুলেল শুভেচ্ছা পেয়েছি। আমি নিজের পরিবারকে অনেক ভালোবাসি। তাই সবার জন্য ফুল কিনেছি। অনার্স শিক্ষার্থী নোমান(ছদ্দনাম) জানান, দীর্ঘদিনের পছন্দের এক জুনিয়র শিক্ষার্থীকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে প্রপোজ করবেন তিনি। তাই লাল গোলাপসহ ফুলের তোরা কিনেছেন।
কলাপাড়া বাঁশবাড়ি ক্যাফে ঝিলের মালিক সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু জানান, সকাল থেকে তেমন ভিড় না থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাঁশবাড়িতে নানান বয়সী মানুষ প্রিয়জনদের নিয়ে আসতে শুরু করেছে। তবে তরুন-তরুণীদের সংখ্যা তুলনামূলক একটু বেশি। আমরা তাদের ভালোবাসা দিবসে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসীম জানান, বিশেষ এই দিনকে ঘিরে এখনো পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রতিকর ঘটনার খবর পাইনি। তবে আমরা বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে সজাগ দৃষ্টি রাখছি। তবে মহিপুর থানার ওসি খন্দকার আবুল খায়ের বলেন, বিশেষ এই দিনকে ঘিরে সকাল থেকে কুয়াকাটার সৈকতে তেমন পর্যটকের আগমন ঘটেনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন