বগুড়ার শিবগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জন্মাষ্টমী উদযাপন

বগুড়ার শিবগঞ্জে মহাপুরুষ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিন জন্মাষ্টমী উদযাপন করা হয়েছে।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী শিবগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় বানাইল বারোয়ারী দুর্গা মন্দির চত্বরে বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাম নারায়ন কানুর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রভাষক আশীষ কুমার রায়ের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার।

বিশেষ অতিখির বক্তব্য রাখেন এসিল্যান্ড মোঃ তাসনিমুজ্জামান রোমেল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক, শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প‚জা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুবির কুমার দত্ত, চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম, আহসান হাবিব সবুজ।
আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহসভাপতি মোহল লাল কানু, মিলন চন্দ্র দাস, লক্ষি নারায়ন দাস সংগ্রাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক নয়ন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র মোদক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সনৎ কুমার মন্ডল, ব্যাংক কর্মকর্তা সমর কুমার গোবিন্দ, প্রভাষক তন্ময়, পুলক গোস্বামীসহ ১২টি ইউনিয়নের পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।

প্রসঙ্গতঃ শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, দ্বাপর যুগের শেষভাগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথির রহিনী নক্ষত্রে মথুরায় কংসের কারাগারে শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন ইশ্বরের স্বরূপ। দুষ্টের দমন করে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি মানুষরূপে পৃথিবীতে আর্বিভূত হন।

প্রায় ৫ হাজার বছর আগে অশুভ শক্তিকে দমন করে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় ধরাধামে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। তার আবির্ভব বিশ্বের ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করে। নির্যাতিত- নিপীড়িত মানুষকে তিনি পরিত্রাতার ভূমিকা পালন করেন। অন্ধকার সরিয়ে পৃথিবীকে আলোয় উদ্ভাসিত করেন। দ্বাপর যুগে পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানব জাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল।

সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে যুগে ভগবান আর্বিভূত হন এবং সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন। এই মহাপুরুষ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ এ বর্ণাঢ্য আয়োজন করে।

আলোচনা সভা শেষে বর্ণাঢ্য র‍্যালী, মঙ্গল আরতি, বস্ত্র বিতরণ, শ্রীকৃষ্ণের জীবনের উপর কৃর্তন ও মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।