বগুড়ার শিবগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে জমি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা


আষাঢ় মাস অতিবাহিত হয়ে শ্রাবন মাস চলছে। কোন বৃষ্টি না হওয়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছিলো।
গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে এ উপজেলার কৃষকরা আমন ধানের জমি চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। কিছুটা দেরি হলেও তারা পুরোদমে জমিতে কাজ করছে।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলাকে বলা হয় উত্তরাঞ্চলের শস্য ভান্ডার।
কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ বছর উপজেলায় আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা সাড়ে ১৮ হাজার হেক্টর জমি। এ লক্ষমাত্রা এবার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্ষা মৌসুমে তীব্র রোদ ও প্রচন্ড তাপদাহের কারণে সঠিক সময়ে জমি তৈরী করতে পারছিলোনা এ অঞ্চলের কৃষকেরা। এমনকি প্রচন্ড তাপদাহে জমি ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিলো।
অনেক কৃষকরা কোন উপায় না পেয়ে শুকনা জমিতেই চাষ দেয়া শুরু করেছিলো।
গত শনিবার থেকে টানা বর্ষনে এ উপজেলার কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপনের জন্য জমিতে চাষদিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। কাক ডাক ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা মাঠে কাজ করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে পৌর এলাকার দহিলা মাঠে গিয়ে দেখা গেছে কৃষক রবিউল, ওসমান গণি, আলেক, কুদ্দুসসহ অনেকে জমিত ধানের চারা লাগানোর উপযোগী করতে জমিতে চাষ দিচ্ছে।
কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় চিন্তিত ছিলাম। আল্লাহর মেহেরবানিতে বৃষ্টি হচ্ছে বলেই আমিসহ অনেকেই জমিতে চাষ দিতে পারছি। কিছুদিন পূর্বে আমাদের জমিতে ধূলিকনা উড়লেও বর্তমানে কাঁদায় পরিপূর্ণ হয়েছে।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার বলেন, সময় মত বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের চারা রোপনে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে কয়েক দিন বৃষ্টিতে কৃষকরা জমিতে চাষ দিয়ে ধানের চারা রোপন করছে। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে জমি পরিচর্জা ও ধানের চারা রোপন সমাপ্ত হবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন